নাজমুল হক, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) : পাটকেলঘাটা ও তালার বিভিন্ন পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ হবিবুল ইসলাম হাবিব। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তালা-পাটকেলঘাটার পুঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে পরিদর্শন করেন ও আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এসময় ধানদিয়া, ফুলবাড়ি, সেঁনেরগাতী, ঝড় গাছা, নলকুড়া, পুলেরহাট, মানিকহার, নগরঘাটা ঋশিপাড়া, কালিবাড়ী, কাপাসডাঙ্গা, পাটকেলঘাটা, তৈলকুপি, রাজন্দ্রপুর, খলিষখালী, মাদরা, গাছা, খেশরা সহ ৬-৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন পূঁজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় সফরসঙ্গী ছিলেন, তালা উপজেলা পূঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার, তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসেন, নগরঘাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহব্বত হোসেন, ধানদিয়া ইউনিয়নের পূঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আশুতোষ দাশ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক দিপংকর সুর, প্রভাষক আব্দুল কুদ্দুস, আতাউর রহমান, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোমিন, সহ সভাপতি অধ্যাপক মো: নাজমুল হক, অর্থ সম্পাদক আতাউর রহমান, যমুনা টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলাম সহ বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় বিভিন্ন পূঁজা মন্ডপে সনাতন ধর্মলম্বী ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, একটি ভোট দিব বলে যুদ্ধ করেছিলাম। আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকারের আমলে আপনারা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেননি। পুলিশরা আপনাদের ভোট দিয়ে দিয়েছিল। এখন থেকে আপনারা নির্বিঘ্নে যাকে খুশি তাকে পছন্দ মত ভোট দিবেন। আপনাদের সকল বিপদ আপদে ডাকলে আমাকে পাশে পাবেন। হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে সোহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে চায়। নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আগামী তিনদিন প্রতিটি পূঁজা মন্ডপ পাহারা দিয়ে রাখবেন যাতে কোন দুষ্কৃতিকারী যেন এ শারদীয় দূর্গাপূঁজা উদযাপনে বাধা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। আওয়ামী সরকার চেয়েছিল আমাকে আর যেন আপনাদের সাথে সাক্ষাত করতে না পারি। তাই ইতিহাসের জঘন্যতম বিচারে ৭০ বছরের জেল দিয়েছিল আমাকে। যেন আমি জেল থেকে বেরোতে না পরি। রাখে আল্লাহ মারে কে? যারা আপনাদের সাথে সাক্ষাত করতে দেবে না তারাই ৪৫ মিনিটের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্র বিপ্লবের কারণে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা মুক্তি পেয়েছি।