তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার পল্লীতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদে সুলাইমান বিল্লাল (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রকে হাত-পা বেঁেধ মারপীট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের জাকির হোসেনের মৎস্য ঘেরে। আহত শিশু সুলাইমান বিল্লাল লাউতাড়া গ্রামের মান্নান গাজী পুত্র এবং তেরছি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে বর্তমানে তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি সুলাইমান ও তার স্বজনরা জানায়, তার একবন্ধুর সাথে গত ২ দিন আগে পার্শ্ববর্তী জাকির বিশ^াসের কলিনদা বিলের মৎস্য ঘেরে বেড়াতে যায়। এর দুদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাকির হোসেনের ঘের কর্মচারী সোহেলসহ কয়েক তাকে বাড়ি থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ডেকে ঘেরে নিয়ে ১ হাজার টাকা চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মারপীট করে। এ সময় শিশুটির পিতা মান্নানকে ফোনে মারপীট ও আত্মচিৎকার শোনায়।
শিশু বিল্লালের দাদা হোসেন গাজী জানান, সংবাদ পেয়ে ঘেরে পৌছে দেখি ঘের মালিক জাকির, কর্মচারী সোহেল, জয়দেবসহ কয়েকজন তখনও বিল্লালকে বেদম মারপীট করছে। এ সময় আমরা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন সরদার জানান, ঘটনাটি শুনেছি। রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে একটি শিশুকে নির্যাতনের ঘটনা খুবই দু:খজনক। এ সময় তিনি উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
তেরছি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলাম জানান, দরিদ্র পরিবারে ছেলে বিল্লাল আমার স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে খুবই শান্তশিষ্ট ভদ্র ছেলে। যদি সে ভুল করে থাকে, তার মা-বাবাকে জানাতে পারতো, মারপীট করা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে ঘের মালিক জাকির হোসেন বিশ^াস মুঠোফোনে জানান, ‘ঘেরের চুরির ঘটনায় কর্মচারীরা তাকে সন্দেহ করে দু-একটা চড় থাপ্পড় মারে। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌছে দিই।’
আরেক অভিযুক্ত জয়দেব জানান, আমার পাশর্^বর্তী ঘের থাকায়, সেখানে আমি গিয়েছিলাম। ‘তবে মারপীটের ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয়।’
এ ঘটনায় তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরি রেজাউল করিম জানান, এমন কোন অভিযোগ এখনও আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।