তালা প্রতিনিধি : তালায় মাঝিয়াড়া গ্রামে খাদ্যের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মেশানো খাবার খেয়ে একই পরিবারের ৪জন অজ্ঞান অবস্থায় তালা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভর্তি হয়েছে। তবে রাতব্যাপী পাহারা দেওয়ার দেওয়ার কারণে ব্যর্থ হয়েছে চোরচক্র। ঘটনার পর এলাকাবাসী পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অচেতন ব্যক্তিরা হলেন, তালা থানার সদর ইউনিয়নের মাঝিয়াড়া গ্রামের অসিম দেবনাথ (৭০), সুনিল দেবনাথ (৬৫), গৃহকর্তী বিজলী দেবনাথ (৫৫) ও অসিম দেবনাথের পুত্র অমিত দেবনাথ (৩৩)।
ঘটনার বিষয়ে প্রকাশ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের সকল সদস্য একসাথে রাতের খাবার খায়। উক্ত ৪ জন খাবার পরিবেশন করে সুনিল দেবনাথের স্ত্রী স্বপ্না দেবনাথ। তিনি খাবার খেতে ইচ্ছে না করায় খায়নি। খাওয়ার পর ফেসবুক দেখে কিছু সময় সুনিল দেবনাথ। কিন্তু তার স্ত্রী স্বপ্নারাণী দেখে বুকের উপর মোবাইল রেখে তার স্বামী অচেতন,পাশের ঘরে ঢুকে দেখে অপর ৩ জন তিন জায়গায় অচেতন। তখন মারাত্মক ভীত হয়ে স্বপ্না দেবনাথ তার পুত্র সুমিত দেবনাথ, বৌমা ইতিরাণী দেবনাথ যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চিনেটোলা গ্রামে ভাইরা ভাই পরেশ কুমারের বাড়িতে ছিলো তাদের কাছে ফোন করে। সুমিত দেবনাথ মাঝিয়াড়া গ্রামের মির্জা শামীমসহ তার বন্ধুদের কাছে জানালে তারা তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। মির্জা শামীমের নেতৃত্বে উক্ত বাড়িতে সারা রাত পাহার দেয়। চোরচক্র মির্জা শামীমের বাড়িতে হানা দেয় সেখানেও ব্যর্থ হয়। একটি সংঙ্গবদ্ধ চোর চক্র বেশ কিছু দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
স্বপ্না দেবনাথ জানান,স্বপ্না দেবনাথ রাতের খাবার খেলে পরিবারটি স্বর্বশান্ত হয়ে যেত কিন্তুু চোরের বিধিবাম তাই স্বপ্না দেবনাথ রাতের খাবার না খাওয়ার কারনে পরিবারটি এই ভঙ্কর চুরির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। যে কারনে আতঙ্কিত এঅঞ্চলের মানুষ শিবপুর, মাঝিয়াড়া, খড়েরডাঙ্গা গ্রামে বিগত ৪০ বৎসরের মধ্যে ব ধরনের কোন চুরি ডাকাতি হয়নি। আকষ্কিক এধরনের কর্মকান্ড ঘটায় এলাকার মানুষ আতঙ্ক গ্রস্হ্য হয়ে পড়েছে। নিশি রাত এ অঞ্চরের মানুষের মাঝেযেন কালরাত হিসাবে দেকা দিয়েছে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে পড়েছে এলাকার নারী পুরুষ ভূগছে একটা অজানা আতঙ্কে। এদিকে ওই অচেতন করা সংঘবদ্ধ চোর চক্র সকলে অচেতন হয়েছে কি না তাহা নিশ্চিত হওয়ার জন্য একটি অল্প বয়েসের তরুন যুবক দু,পকেটে দু,হাত ভরে উঠান দিয়ে শব্দ করতে করতে যাচ্ছিলো। তখন কে কে বলে চিৎকার দিলে সে আস্তে আস্তে সরে যায়। কে এই যুবক, এই যুবককে পুলিশ আবিষ্কার করতে পারলে এই চোর চক্র কাদের সেল্টারে থেকে এধরনের কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করার সাহস পেয়েছে তাদের সন্ধান মিলবে এমন মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তালায় চেতনানাশক প্রয়োগ করে চুরির চেষ্টা!

Leave a comment