
গাজী জাহিদুর রহমান, তালাঃ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৯১ সালে ১০ কাঠা জমি ২০ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন নার্সারি। সেই থেকে সফলতার গল্পের শুরু। পরিশ্রম, সততার ওপর ভর করে তিনি এখন প্রতিষ্ঠিত নার্সারি ব্যবসায়ী। নাম দিয়েছেন ‘মুজিব নার্সারি’। এখন তার মূলধন প্রায় কোটি টাকা। বর্তমানে ২০ বিঘা নার্সারি করেছেন।
শেখ মুজিবুর রহমান তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাতপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল শেখের ছেলে। নার্সারি পেশাকে আয়ের একমাত্র উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি জানান, এসএসসি পাশ করার পর ১৯৯১ সালে পার্শ্ববর্তী একটি নার্সারি গাছের চারা কিনতে যায়। সেখানে গাছের দাম বেশি থাকায় বাড়িতে ফিরে এসে নিজেই নার্সারি শুরু করি। প্রথমে এলাকায় ১০ কাঠা জমিতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে ছোট পরিসরে শুরু করেন নার্সারি। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নার্সারিতে লাভের মুখ দেখতে পান তিনি। এরপর ধীরে ধীরে নার্সারিতে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ এসে চারা সংগ্রহ করেন। এখানে প্রায় দেড় শতাধিক বিভিন্ন ফলদ, বনজ চারা আছে। বিভিন্ন জাতের দেশি-বিদেশি জাতের আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরা, সফেদা, মাল্টা, বরই, কামরাঙা, চালতা, লিচু, বেল, চারা আছে।
তিনি আরোও জানান, এখন তার ২০ বিঘা নার্সারি এক কোটি টাকার মূল্যের চারা আছে। এতে বছরে তার নার্সারি থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার চারা বিক্রি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে তার প্রায় ৫ লক্ষ টাকা থাকে। তার নার্সারি ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজ করে সারা বছর।
শ্রমিক জামাল বলেন,২০ বছর ধরে এই নার্সারিতে কাজ করছি। এই আয়ে ছেলে মেয়ে পড়াশুনা ও সংসার চলে। আমি ছাড়া আরো ১০/১২ জন কাজ করে।
তালা উপজেলা কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রুমা বলেন, নার্সারি লাভজনক ব্যবসা। এলাকায় যারা নার্সারি করেছেন, তাদের নার্সারি নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়।