
এ এম আলী এহসান, তেরখাদা : তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে সরকারি খাস জমি দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। তেরখাদার এক শ্রেনির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খাস জমি দখল করে বহাল তবিয়তে আছে। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদার ৬ ইউনিয়নে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঘর তুলেই ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা শুরু করছে। তেরখাদা উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় অহরহ এ ঘটে গেলেও কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় সরকারি জমি দখল চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। আবার কোনো সরকারি খাস জমির কাগজপত্র তৈরী করতে এই দালালচক্র রয়েছে তৎপর।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন স্লুইস গেটের পাশে, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজার ও বাজারের আশপাশে ফাঁকা জায়গা পেলেই ঘর উত্তোলন চলেছে। এসব জায়গা দখলে বাঁধা না দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে তেরখাদায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে। একটা চক্র আছে যারা সরকারি কাস জমিও মিউটেশন করে ফেলছে। সচেতন মহল বলছেন সরকারি জমি কিভাবে মিউটেশন হয়। এমনিভাবে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ হিন্দু জনঅধ্যুষিত এলাকায় জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। দালাল ও জালিয়াতি চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেক জায়গায় সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে যত্রতত্র অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি। একই সাথে দখল হচ্ছে ফসলি জমি। সরকারি খাস জায়গা দখল করে পাকা বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে এক শ্রেনির প্রভাবশালীরা। পরবর্তীতে কাগজপত্র তৈরীর চেষ্টা করে। তেরখাদা উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি খাস জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার প্রতিবছর লাখ-লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার সচেতনমহল সরকারি খাস জমি রক্ষায় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।