By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
  • ALL E-Paper
Reading: দশমিনায় অর্ধ শতাধিক খালগুলোতে পানি প্রবাহ ক্ষীন,কচুরিপানায় পরিপূর্ন
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > বরিশাল > দশমিনায় অর্ধ শতাধিক খালগুলোতে পানি প্রবাহ ক্ষীন,কচুরিপানায় পরিপূর্ন
বরিশাল

দশমিনায় অর্ধ শতাধিক খালগুলোতে পানি প্রবাহ ক্ষীন,কচুরিপানায় পরিপূর্ন

Last updated: 2025/12/01 at 2:03 PM
জন্মভূমি ডেস্ক 1 day ago
Share
SHARE

আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা (পটুয়াখালী)  : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় অর্ধ শতাধিক খালে পানির প্রবাহ না থাকায় যৌবন হারিয়ে শীর্ণ খালে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। খালে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় কচুরিপানাসহ বিভিন্ন প্রজাতির আগাছা জন্মে গেছে। নাব্যতা ফিরাতে খাল খনন ও কচুরিপানা পরিস্কার করা হয় না। একই সঙ্গে নদী ও খালের সংযোগস্থল এবং উৎস মুখ ভরাট হয়ে যাবার কারনে নৌপথে চরম সংকটাপন্ন অবস্থা দেখা দিয়েছে। খালে পানি না থাকার কারনে কোন নৌযানই চলাচল করতে পারে না। ব্যবসা বানিজ্যের জন্য পন্য বহনকারী নৌযানগুলোকে জোয়ারের পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। খালগুলোতে নাব্যতা ফেরাতে খনন কাজ করা প্রয়োজন। বিগত বছর শুস্ক মৌসুমে পানি উন্নয়র বোর্ড সেচ কাজের সুবিধার্থে খালের প্রায় ৪২ কিলোমিটার খননের কাজ করে ছিল।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে প্রবাহমান খালগুলোর অস্তিত্ব এখন হুমকীর মুখে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে পরিবেশের ইকোসিষ্টেমের উপর চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরিবেশের এই বিরূপ প্রভাবে মাছের উৎপাদন কমে গেছে, সেচ কার্য ব্যাহত হওয়াসহ জীব বৈচিত্র বিলীন হচ্ছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খালগুলো এক সময়ে নৌ যোগাযোগের ও সেচ কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখলেও এখন আর কোন মূল্য নেই। ফসলি জমিতে পলি মাটি বয়ে আনার জন্য খালের অবদান থাকলেও বর্তমানে সেই অবদান চীরদিনের জন্য স্থবির হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খালে প্রয়োজন ছাড়াই যত্রতত্র বাঁধ তৈরি এবং খাল দখল করে দোকানপাট নির্মান করায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অধিকাংশ খাল তাদের যৌবন হারিয়ে শীর্ণ খালে পরিনত হয়েছে। অপরদিকে অনেক খাল ভরাট হয়ে যাবার কারনে নৌযানের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময়ে নদী পথে দশমিনা উপজেলার সাথে জেলা সদর পটুয়াখালী, বাউফল ও গলাচিপা উপজেলার সাথে নৌপথই ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। অত্র নৌপথে নৌকা, ট্রলারসহ ছোট-বড় নৌযান চলাচল করায় ব্যবসা-বানিজ্যের ব্যাপক প্রসার ছিল। নদী পথে পন্য সামগ্রী পরিবহনে খরচ কম থাকায় এই পথেই ব্যবসায়ীরা পন্য আনা-নেয়া করতো। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে খালগুলো ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় এখন আর কেউ নৌপথে মালামাল পরিবহন করতে চায় না।
এক সময়ে অত্র উপজেলার মধ্যে প্রবাহমান খাল দিয়ে ৬টি ইউনিয়ন ছাড়াও প্রধান প্রধান হাট-বাজার এবং পার্শ্ববর্তী বাউফল ও গলাচিপা উপজেলায় পন্য সামগ্রী আনা-নেয়া করা হতো। এই পথে মালামাল আনা-নেয়ায় খরচ এবং সময় কম লাগতো। বর্তমানে খালগুলোতে নাব্যতা কমে যাওয়ায় নৌযান চলাচল করতে পারে না। ফলে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে মালামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। মানুষের লোভের কারনে দূর্বল স্রোতের খালগুলো দখল, গতিপথের পরিবর্তনের পাশাপাশি নাব্যতা হ্রাসসহ বিভিন্ন কারনে সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার মানচিত্র থেকে অনেক খালের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। খাল ভরাটের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং খাল খননের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহন করা না তাহলে অদূর ভবিষ্যতে খালগুলো হারিয়ে যাবে এবং একই সঙ্গে এলাকায় ফসলের উৎপাদন কমে যাবে।
উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় দুই শতাধিক খালের মধ্যে দেড় শতাধিক খাল মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়া এই খালগুলো এখন কালের স¦াক্ষ্মী হয়ে আছে। খালগুলো না থাকায় শুস্ক মৌসুমে তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়। উপজেলার হাজার হাজার একর ফসলি জমি উর্বরতা হারিয়ে ফেলেছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রায় দুই শতাধিক খাল ছিল পানি নিস্কাশন এবং সেচ কাজের একমাত্র মাধ্যম। এই সব খাল দিয়ে সাগর কিংবা নদী থেকে পলি মাটি ভেসে এসে ফসলি জমিতে সরাসরি পড়তো। গ্রামের সঙ্গে গ্রামের ছিল সরাসরি নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই সকল খাল দিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাউফল উপজেলার কালাইয়া বাজার এবং গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারে নৌকা-ট্রলারে করে মালামাল আনা-নেয়া করা হতো। কিন্তু খালগুলো মানচিত্রে থাকলেও বাস্তবে এর চিহ্ন খুবই কম রয়েছে। নৌকা চলে না, পড়ে না ফসলি জমিতে পলি মাটি। ফলে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। ফলে কৃষকরা পড়েছে বেকায়দায়। স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়,ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মচারী এবং ভূমি দস্যুরা নামে-বেনামে খালগুলো বন্দোবস্ত নিয়েছে। তারা খালগুলো ভরাট করে কিংবা বাঁধ দিয়ে মাছের চাষাবাদ করছে। এছাড়া অপরিকল্পিত বাঁধ ও কালভার্ট নির্মান করায় খালগুলো অকালেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ষাকালে দেখা দেয় বিশাল জলাবদ্ধতা আর শুস্ক মৌসুমে সেচ কাজের জন্য তীব্র পানি সংকট দেখা দেয়।
সরেজমিনে উপজেলার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে দেখা গেছে,খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। খালটিতে কোন পানি প্রবাহ নেই। এই খালটি বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি কবুলিয়ত নিয়ে দখল করে রেখেছে। খালের দুই পাশ কেটে মাটি ভরাট করে চাষযোগ্য জমি তৈরি করা হয়েছে। এই খাল দিয়ে প্রায় দুই হাজার একর ফসলি জমির পানি উঠানামা করতো। বর্তমানে এই অঞ্চলে তেমন কোন ফসল উৎপাদন হয় না। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর হোসনাবাদ এলাকার খালটি বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এই খাল দিয়ে প্রায় ৫ হাজার একর জমির পানি উঠানামা করে। এছাড়া সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের নিবারন কবিরাজের নামের বিশাল খালটি ১০/১৫ হাত পানি থাকা অবস্থায় বন্দোবস্ত দিয়েছে। বন্দোবস্তকারী ব্যক্তিরা খালটি ভরাট করে চাষাবাদ করছে। সদরের দক্ষিন আরজবেগী গ্রামের আজগুরিয়া খালটি স্থানীয় প্রভাবশালীরা বন্দোবস্ত নিয়েছে। এই খালটিতে শুস্ক মৌসুমে পানি থাকলেও এটি বাঁধ দিয়ে মাছের চাষাবাদ করা হচ্ছে। ফলে এই খাল দিয়ে পানি উঠানামা করতে পারে না। উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের খলিশাখালীর কেয়ার খাল, ইঞ্জিনারায়ন খাল,শিংবাড়িয়া খাল, রণগোপালদী ইউনিয়নের কাটা খাল, আউলিয়াপুর গ্রামের নাপ্তার খাল,তালতলার হোতা খাল স্থানীয় প্রভাবশালীরা বন্দোবস্ত নিয়েছে। উল্লেখিত খালগুলো তারা ভরাট ও বাঁধ দিয়েছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও শুস্ক কালে পানি শূন্যতায় হাজার হাজার ফসল নষ্ট হচ্ছে। খালে মাঝে অপরিকল্পিত কালভার্ট ও বাঁধ নির্মান করায় নদী থেকে কোন পলি মাটি আসতে পারে না। ফলে ফসলি জমি দিন দিন উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের পানি নিস্কাশনের খালগুলো কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। খালগুলো খনন করাসহ কচুরিপানা পরিস্কার করে পানির প্রবাহ ও নাব্যতা ফিরে আনা হলে উপজেলার নানা পেশার বাসিন্দাদের সুদিন ফিরে আসবে।

 

জন্মভূমি ডেস্ক December 1, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article ডুমুরিয়ার ভূয়া পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ঈশ্বরদীতে গ্রেফতার
Next Article দিঘলিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা

দিনপঞ্জি

December 2025
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
« Nov    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
খুলনা

দাকোপে রাস্তা নির্মানে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

By জন্মভূমি ডেস্ক 26 minutes ago
বরিশাল

মঠবাড়িয়ায় অবৈধ জাল পেতে মাছ ধরায় দুই জেলের অর্থদণ্ড

By জন্মভূমি ডেস্ক 42 minutes ago
খুলনা

ডুমুরিয়ায় বিলুপ্তির পথে গরু দিয়ে হালচাষ

By জন্মভূমি ডেস্ক 48 minutes ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

বরিশাল

মঠবাড়িয়ায় অবৈধ জাল পেতে মাছ ধরায় দুই জেলের অর্থদণ্ড

By জন্মভূমি ডেস্ক 42 minutes ago
বরিশাল

দশমিনায় আমন ধানের বাম্পার ফলন

By জন্মভূমি ডেস্ক 2 hours ago
বরিশাল

মাদারীপুরে চীন মৈত্রী সেতু’র টোল অফিসে হামলা, আহত ৩

By জন্মভূমি ডেস্ক 2 days ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?