
আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে স্বাদের দেশী টেংরা মাছ এখন আর আগের মতো পাওয়া যায় না। নদীতে জেলেরা জাল ফেলে মাছ শিকার করতে গিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করার পরও যৎসামান্য মিশ্র মাছ নিয়ে তীরে ফিরে আসে। এই মিশ্র মাছের মধ্যেই অনেক সময় কয়েকটি টেংরা মাছ পাওয়া যায়। বর্ষা মৌসুমে নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে টেংরা মাছ পাওয়া গেলেও এখন আর তেমন পাওয়া যায় না।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাট-বাজারগুলোতে নদীর দেশী প্রজাতির নানা প্রজাতির স্বাদের মাছ এখন বিলুপ্ত হতে চলছে। প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে নির্বিয্নে ছোট-বড় মাছ ধরার কারনে দেশী প্রজাতির নদীর টেংরা মাছ কমে গেছে। নদীর মাছ হিসাবে টেংরা মাছ তেমন আর জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না। বর্ষা মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছ ডিম ছাড়ার আগেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তার হচ্ছে না। অসাধু জেলেরা মাছ ধরার অবাধে মাছ শিকার করার কারনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশী প্রজাতির মাছগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার মাছের ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী এখন প্রায় মাছ শূন্য হয়ে যাচ্ছে। নদীর টেংরা মাছ প্রায় বিলুপ্ত হবার পথে রয়েছে। নদীর স্বাদের মাছ হিসাবে পরিচিত টেংরা মাছ পাওয়া এখন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার বটে। অবৈধ জালের অবাধ ব্যবহার,বর্ষাকালে প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা মাছসহ পোনা নিধন এবং মাছের বিচরন ক্ষেত্র নষ্ট করা কারনে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্পদ হিসাবে পরিচিত মৎস্য আজ বিলুপ্ত হতে চলছে। এছাড়া মাছের প্রজনন মৌসুম ও পোনা মাছের বৃদ্ধিকালীন সময় অবাধে ছোট-বড় মাছ ধরা এবং মৎস্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নদীর স্বাদের টেংরা মাছ বিলুপ্ত হতে চলছে।