জন্মভূমি ডেস্ক : বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। সেই কারণে আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কমিশন বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের উপর কোন প্রকার চাপ নেই।
সোমবার দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মোঃ আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন খুবই সতর্ক। অবাধ, সুন্দর, নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতিত্ববিহীন নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারব সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্বচ্ছতার সঙ্গে সুন্দরভাবে আমরা নির্বাচন করব। এখন আমাদের হাতে গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী ৫ সিটি নির্বাচন।
তিনি বলেন, খুলনাসহ ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ইভিএমএ। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো নির্বাচন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোন ধরনের অনিয়ম হলে প্রয়োজনের গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের মত নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। এজন্য সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা আশা করছি।
তিনি বলেন, পাঁচ সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সবার সহযোগিতার কারণে আজ খুলনা শহরকে পোস্টার মুক্ত করতে পেরেছি।
নির্বাচনে সাংবাদিকদের নীতিমালার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি হাবিব বলেন, নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য যে নীতিমালা করা হয়েছে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। আমরা সকলের জন্য ভালো হবে এমন একটি নীতিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করবো।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র সবই নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে সুনিশ্চিত হয়। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এমন কোনো কাজ করিনি যা সমাজে নেগেটিভ বার্তা বয়ে আনবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।
ইসি রাশেদা আরও বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে। সেখানে কাজকর্ম আগেই শুরু হয়েছে। সেখানে কিছু অনিয়ম হয়েছে। আপনাদের (মিডিয়া) মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সভায় জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।