মনিরুল ইসলাম মোড়ল, দিঘলিয়া : প্রেমের ফাদে ফেলে নগরীর একটি সিনেমা হলে এনে বারবার ধর্ষণ করে এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে রেড়াচ্ছে মামলার আসামী। মামলার এক বছর পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আসামি। অপরদিকে আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভিকটিম পরিবারের।
জানা যায়, মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় কর্মচারীদের বিশ্রামাগার, সেখানে চলে মাদকের আসর ও দেহ ব্যবসা।
খুলনা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ইংরেজি ২৫শে আগষ্ট ২০২৩- মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন এস এস সি পরীক্ষার্থী (১৬) এ ধর্ষণের শিকার হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী কোভিড-১৯ (করোনা) ভ্যাকসিন নিতে খালিশপুর হাজী মোহাম্মদ মোহাসিন কলেজে আসেন ভিকটিম সুরাইয়া আক্তার, সেখানেই আসামি আলী হাসান পিতা- মোকলেসুর রহমান মুন্সি, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম-চন্দনীমহল গাজীপাড়া, সেনহাটি, দিঘলিয়া উপজেলা, খুলনা এর সাথে পরিচয় হয় এবং মোবাইল নাম্বার লেনদেন হয়। আসামি আলী হাসান পরিচয় দেয় সে খুলনার একটি অভিজাত সিনেমা হলের ম্যানেজার, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় নিয়ে জোর পূর্বক হাত পা বেঁধে, বিবস্ত্র করে মোবাইলে ফোনে উলঙ্গ ভিডিও ছবি ধারণ করে রাখে আসামি আলী হাসান।
এই রকম অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এ নরপশু হাসান ও তার সহযোগীরা। ঐ বিবস্ত্র ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আবার কয়েক দিন পরে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে সিনেমা হলে ডেকে নিয়ে বিবাহ করার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে আলী হাসান ও তার তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণের ছবি ভিডিও ধারণ করে, একে একে তিনজনই পালাক্রমে ধর্ষণ করে। উক্ত ধুরন্ধর হাসান ভিডিও ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় শঙ্খ সিনেমা হলের তৃতীয় তলায় কর্মচারীদের বিশ্রামাগার এ নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বিবাহের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ভিকটিম সুরাইয়া আক্তারকে হত্যার হুমকি দেয়। গরীব পরিবারের অসহায় মেয়ে, বাধ্য হয়ে পরিবার কাছে ঘটনা খুলে বলে, উক্ত আলী হাসান এর সাথে যোগাযোগ করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ ভিকটিম কে হত্যার হুমকি দেয়। ভিকটিম এর পরিবার খুলনা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে, ভিকটিম এর আলামত না থাকায় মামলা না নিয়ে, আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
গত ইংরেজি ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখে খুলনা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-১, খুলনা, আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বিচারক মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা (জেলা ও দায়রা জজ) অভিযোগকারী কর্তৃক দাখিলকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০২৩) ২০০০ এর ৯(১), ৩০ ধারার অধীনে মামলাটি হয়। মামলাটি অধিকৃত তদন্ত রিপোর্ট সহ-আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে দাখিল করতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনাই খুলনা সদর থানা পুলিশ, আসামি আলী হাসান পালিয়ে থেকে ও ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে জানা যায়।
আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এটাই ভিকটিম ও তার পরিবারের দাবি।