জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা হতে চারটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি ম্যাগজিন ও ৩৫ রাউন্ড বুলেটসহ গ্রেফতার হওয়া আসামি শরিফুল ইসলাম সোহাগ (২৩) কে আদালত একদিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তার পাঁচ দিন রিমাণ্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর ১২ টার পরে আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী রিমাণ্ড না-মঞ্জুরের আবেদন করেননি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আসামি সোহাগকে এক দিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আদালতের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তৌহিদুর রহমান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনায় হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলির উৎস কি? এ কারবারের সাথে আর কারা জড়িত? কাদের কাছে সরবরাহের জন্য ওই অস্ত্র ও বুলেট মজুদ করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর জেনে উদ্ধার-গ্রেফতারের চেষ্টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছিল।
পুলিশ জানায়, আসামি সোহাগ ২৫/৩ বিকে রায় রোড বাইলেন এলাকার বাসিন্দা মোঃ শহিদুল ইসলাম সাগরের ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে অভিযুক্তের বসত বাড়ীর পূব পাশের একটি কক্ষের খাটের নিচ হতে একটি রিভলবার, সাত রাউণ্ড রিভলবারের গুলি ও দুই রাউণ্ড বারো বোর শট গানের গুলি উদ্ধার হয়। এরপর আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হক নার্সিং হোমের বিপরীত দিকের একটি মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। মার্কেটটি আসামি সোহাগের পারিবারিক জমির উপর গড়ে ওঠেছে। সেখানকার একটি ভাঙ্গাড়ি ও এলপিজি গ্যাসের গ্ডোাউন হতে একটি পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন, ২৩ রাউণ্ড পিস্তলের বুলেট, দুইটি ওয়ান শ্যুটার গান ও তিন রাউণ্ড এসএলআর-এর গুলি উদ্ধার করা হয়।
সূত্রমতে, এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর সোহাগের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। সে এলপিজি ও ভাঙ্গাড়ি ব্যবসার আড়ালে আগ্নেয়াস্ত্র ও বুলেটের কারবার চালিয়ে আসছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।