
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর খালিশপুর থানাধীন জোড়াগেট এলাকার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার লিঃ এর নিকটতম দূরত্বের একটি ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির কারখান গড়ে উঠেছিল। সেখান থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য তৈরি করা কাঠামো উদ্ধার হয়েছে। যা দিয়ে অন্তত ৩০ টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি সম্ভব হতো। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম এ অস্ত্র তৈরির কারখানাটি আবিষ্কার করে। শনিবার সন্ধ্যা সাত টার দিক থেকে সেখানে অভিযান শুরু হয়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অভিযান চলছিল।
ওজোপাডিকোর উত্তর পাশে জনৈক নজরুল ইসলামের ওয়ার্কশপে পরিচালিত এ অভিযানে শেরেবাংলা রোডের বাসিন্দা নজরুল (৫৫), পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার মোঃ আগবার আলী (৫৮) এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার দারোগার ভিটা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪২) নামে তিন জন আটক হয়। এ রিপোর্ট লেখাকালে তারা ডিবি হেফাজতে ছিলেন। যদিও তারা কাদের কাছে সরবরাহের জন্য ওই আগ্নেয়াস্ত্রের খণ্ডিত অংশগুলো তৈরি করেছেন, তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ জানতে পারেনি। তবে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। কেএমপি’র বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা দৈনিক জন্মভূমিকে এসব কথা বলেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩০/৪০ টি আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষুদ্রাংশ সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার হয়েছে।
কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম একটি গণমাধ্যমকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যেও ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রাংশগুলো দিয়ে প্রায় ৩০ টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈারি সম্ভব। কারখানাটিতে সাচের মাধ্যমে এসব যন্ত্রাংশ তৈরি হতো। পরে সেগুলো অন্য একটি সেক্টরে ফিনিসিংয়ের জন্য পাঠানো হতো।
ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যেও উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, কারখানাটিতে অন্তত ছয় মাস ধরে এ কাজ চলছিল। সেখান থেকে অস্ত্র সরবরাহের তথ্য পেয়ে পুলিশ নজরদারী শুরু করে।
কেএমপি’র এক কবর্মকর্তা বলেন, এই অস্ত্র কারখানার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই অস্ত্রগুলো নির্বাচনী সহিংসতায় ব্যববহার হতে পারত বলেও তিনি শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

