১৮ লক্ষাধিক টাকা, ৪৯ টি মোবাইল, মোটর সাইকেল ও পিকআপ জব্দ
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর পৃথক তিনটি থানা এলাকা হতে ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তাদের হেফাজত হতে লুন্ঠিত ১৮ লক্ষাধিক টাকা, ৪৯টি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন, একটি মোটর সাইকেল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে। শরিয়তপুর জেলার পালং সদর মডেল থানা এলাকায় লুট-তরাজ সংঘটিত করে ডাকাত দলটির ওই তিন সদস্য খুলনায় অবস্থান করছিল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু করে রাত ৯ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। দলের সর্দার মোফাজ্জেল হোসেনের বসবাসও নগরীর দৌলতপুরের মজুমদারপাড়া এলাকায়। আইন-শ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনির সদস্যরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত ২৬ জানুয়ারি রাতে পালং সদর মডেল থানা এলাকায় একটি সিগারেট কোম্পানির ভল্ট কেটে ৭/৮ জনের একদল ডাকাত এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। শরিয়তপুর জেলার অতি: পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম একজন ডাকাতের অবস্থানের তথ্য দিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ-কেএমপি’র সহযোগিতা চান। এরপর কেএমপির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে হরিণটানা থানা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। পুলিশের উভয় টিমের সদস্যদের অভিযানে রায়েরমহল হামিদনগর এলাকা হতে মোরশেদ মিয়া (২৭) গ্রেফতার হয়। তার হেফাজহত হতে ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, ১৯ টি মোবাইল ফোন, একটি মোটর সাইকেল ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ীগেট এলাকা হতে মিলন মোল্লা (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩শ’ ৮৪ টাকা উদ্ধার হয়। এরপর দৌলতপুরের মহেশ^রপাশা এলাকা হতে মেহেরাজ হাওলাদার (৫২) নামে আরেকজনকে ডাকাতির ৩৫ হাজার ৫শ’ ৭১ টাকা ও ৩০ টি মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। হরিণটানা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম দৈনিক জন্মভূমিকে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়. উদ্ধার করা মালামালসহ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে নিয়ে শরিতপুর জেলা পুলিশ ওই রাতেই পালং সদর মডেল থানার উদ্দেশ্যে রওনা করে। ডাকাত দলের সর্দারের আবাসস্থলও খুলনায়, তাকে গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।