
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর খুলনা সদর থানার ৫ নং ঘাট সংলগ্ন ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হতে মিঠু হাওলাদার (৩০) নামে একটি অপহরণকারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তার হেফাজত হতে দুইটি বোমা উদ্ধার হয়েছে। শনিবার দুপুরে নৌ বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এ উদ্ধার-গ্রেফতার গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধের অভিযোগে আরও চারটি মামলা রয়েছে।
ঠাকুরগাও জেলার রানিশংকর থানার হাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মারুফ ইসলাম (১৯) নামে এক ব্যক্তি খুলনা শহরে এক ঠিকাদারের অধীনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে এসেছিলেন। কাজ শেষে তিনি বাড়ী ফেরার উদ্দেশ্যে ভোর রাতে রেল স্টেশনে আসেন। টিকেট কাটতে যাবার সময় সেখানে অবস্থানরত চক্রের এক সদস্য তাকে বলে- এখন ট্রেন নেই। একটু পরেই আপনি যেতে পারবেন। এরপর মারুফকে সুকৌশলে পাশর্^বর্তী একটি ফাঁকা স্থানে আনা হয়। সেখান থেকে তাকে ৪ নং ঘাট এলাকার একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে আটকে মারপিট করা হয়। তখন তার কাছ থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। চক্রের সদস্য ছিলো পাঁচ জন। গ্রেফতারের পর গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দেয়া আসামি ও ভিকটিমের বক্তব্য থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম মারুফ নৌ বাহিনীর বা-নৌজা তিতুমীর ঘাটিতে একজন ঠিকাদারের অধীনে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে এসেছিলেন। তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর তিনি নৌ বাহিনীর এক কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে নৌ এবং পুলিশ বাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতার হওয়া মিঠু হাওলাদার ৫ নং ঘাটের সি ব্লকের জনৈক বাবুল হাওলাদারের ছেলে। তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইলটি উদ্ধার হলেও নগদ ৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়নি। এ রিপোর্ট লেখাকালে চক্রের অন্য সদস্যদের সন্ধান জেনে গ্রেফতারের চেষ্টায় থানা পুলিশ তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন।
খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক সাঈদুর রহমান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, এ ঘটনায় অপহরণ ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উদ্ধার হওয়া বোমা দুটো পানিতে ভিজিয়ে নিষ্কৃয় করা হয়েছে।