জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর খুলনা সদর থানাধীন বুড়ো মৌলভির দরগা এলাকার একটি বহুতল ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মোঃ সোহেল রানা (৩২) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে হলুদ রঙের ওড়নায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে ছিলেন। তার কপালে, হাতে ও পায়ে রক্তাক্ত জখম। জখম স্থান হতে রক্ত ঝরে ফ্লোরে গড়িয়ে পড়েছিল। রান্নাঘর ও ডাইনিং রুমেও ছোপ-ছোপ রক্ত ছিল। ভিকটিমের পরিহিত প্যান্টের বেশিরভাগ অংশ রক্তে ভেজা ছিল। ফ্লোরের এক পাশে রক্ত মাখা একটি চাপাতি ও রান্নাঘরের (সিংক) থালা-বাটি পরিষ্কারের স্থানে আরেকটি ধাঁরালো ছুরি পড়েছিল। সোহেলকে স্বজনেরা ফোনে না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ওই অবস্থায় তাকে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন।
নিহত সোহেল দীর্ঘদিন দক্ষিণ কোরিয়ায় থেকে দেশে ফেরেন। সেখান থেকে তিনি টাকা-পয়সা তার বড় ভাই খোকনের কাছে পাঠিয়েছিলেন। দেশে ফিরে সোহেল তার ভাইয়ের কাছ থেকে অর্থ-সম্পত্তি ঠিকমতো বুঝে পাননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। এর জের ধরে ্এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে বলে ভিকটিমের কয়েকজন স্বজন কেএমপি’র একটি শাখার এক কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মৃত্যুর আগের রাতে নিহত ব্যক্তি নগরীর লবনচরা থানাধীন বান্দাবাজার কামার গলি এলাকায় শ^শুরালয়ে স্ত্রী শারমিনের সাথে ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি ডাক্তার দেখানোর কথা বলে সেখান থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর তার স্ত্রী তাকে বার-বার ফোন দিয়ে সাড়া না পেয়ে ১৬৮ বুড়ো মৌলভীর দরগা মেইন রোড এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় আসেন। পরবর্তীতে তিনিসহ অন্য স্বজনেরা দরজা ভেঙ্গে সোহেলকে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখেন।
রাত পৌনে নয় টার দিকে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে- তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?