এম ডি আহাদুজ্জামান, নড়াইল : এক সময় বল হাতে দূরন্ত গতিতে ছুটেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। পেয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস তকমা। হাঁটুর চোট কেড়ে নিয়েছে গতি। তবুও দমে যাননি। বোলিংয়ে নানা বৈচিত্রের সম্মেলন ঘটিয়ে খেলে যাচ্ছেন এখনও। মাঠের এ অদম্য নায়ক মাঠের বাইরে দূরন্ত গতিতে ছুটছেন নিজের গড়া ফাউন্ডেশন নিয়ে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে নিজ জেলা ও জেলার মানুষের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নে কাজ করছেন মাশরাফি। নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাধারণত মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক সাহায্য প্রদান, তৃণমূল পর্যায় হতে ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় খুঁজে এনে তাদের প্রশিক্ষণ, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার, গ্রিন ও ক্লিন নড়াইল করতে ডাস্টবিন স্থাপন, সোলার লাইট বিতরণ, দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি বীজ বিতরণ, বেকারত্ব নিরসনে উদ্যেগ গ্রহন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা, করোনা নমুনা সংগ্রহে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, অক্সিজেন সেবা প্রদান করা, প্রায় ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, নড়াইলবাসীর সার্বিক নিরাপত্তায় সিসি টিভি স্থাপনসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ উদ্যোগের সাথে একাত্ম ঘোষণা করে প্রশাসন থেকে শুরু করে নড়াইলের সর্বস্তরের মানুষ। ফাউন্ডেশনের জন্য সব সদস্যই কাজ করে যাচ্ছে অত্যন্ত আন্তরিকতায়।
নড়াইলকে বদলে দেয়ার মিশনে প্রয়োজনীয় সকল বিষয় নিয়ে কাজ করছে ফাউন্ডেশনটি। নড়াইল হবে প্রজন্মের অন্যতম সেরা বাসস্থান’ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে এই ফাউন্ডেশন। শুরুতেই নড়াইলের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য রংপুর রাইডার্সের কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্স নেন মাশরাফী। এরপর অল্প সময়ের ব্যবধানেই নড়াইলবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় কেবল এগিয়ে গেছে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম।
নড়াইলের গরীব মেধাবি ছাত্র-ছাত্রী যাদের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এমন ১১০টি পরিবারের জন্য সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছে ফাউন্ডেশনটি। মেধাবীরা যাতে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে সেজন্য একাধিক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। আগামী ২০ বছর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মেধাবীদের বিনামুল্যে পড়ার সুযোগ করে দেবে।
নড়াইল এক রাস্তার শহর। এই রাস্তা যাতে চার লেনের হয় সে জন্য কাজ করছে ফাউন্ডেশন। ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন রাস্তা প্রসারিত করারও উদ্যোগ নিয়েছে।