
নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের গ্রামপুলিশ বকুল শখ (৪০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামিসহ পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পৃথক অভিযান চালিয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন এ তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংকালে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-এজাহার নামীয় ১নং আসামি আজমল শেখ ওরফে জাহিদ শেখ (৩২) এবং ২নং আসামি রুবেল শেখ (৩৪)।
প্রেস ব্রিফিং এ বলা হয়, গত ২৮ মে রাতে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের (কুমড়ি) গ্রামপুলিশ বকুল শেখকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত বকুল শেখ কুমড়ি গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত বদির শেখের ছেলে। এ ঘটনায় ৩০ মে নিহতের ছেলে রমজান শেখ বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। লোহাগড়া থানা পুলিশের অভিযানে প্রথমেই মামলার ২নং আসামি কুমড়ি গ্রামের আইনাল শেখের ছেলে রুবেল শেখ (৩৪) গ্রেফতার হন। গ্রেফতারকৃত রুবেলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ১নং আসামী কুমড়ী (পূর্বপাড়া) গ্রামের মোসলেম শেখ ওরফে পাগল কটার ছেলে আজমল শেখ ওরফে জাহিদ শেখকে(৩২) গ্রেফতার করা হয়। জাহিদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১ টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে নড়াইল, লোহাগড়া ও নড়াগাতি থানায় চুরি, দস্যুতা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রাম পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জাহিদ ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার মোসা.সাদিরা খাতুন আরও জানান, ‘নিহত বকুল শেখ ও আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক কলহ ও জমি-জমা নিয়ে গ্রাম্য শত্রুতা চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।