হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামের কৃতি সন্তান শিক্ষক দীপক সাকারীর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল তাকে নানাভাবে হেনস্থা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে শিক্ষক দীপক সাকারী জানান,তিনি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার টোনা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় সুনামের সাথে শিক্ষকতা করছেন। বাড়ি হতে কর্মস্থল দুরে হওয়ায় বেশির ভাগ সময় সেখানে থাকেন। গত ৫ আগষ্টের পর হিজলডাঙ্গা গ্রামের একটি কুচক্রী মহল তাকে হেনস্থা করার জন্য এবং সুকৌশলে তার নিকট হতে আর্থিক সুবিধা নেয়ার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তার বাবা কৃষ্ণপদ সাকারী হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি। অত্যন্ত সুনামের সাথে বিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। এতোদিন তার বাবা বা তার বিরূদ্ধে কোন কারো কোন অভিযোগ নেই। সম্প্রতি সময়ে একটি চক্র দাবি করছেন দীপক সাকারী বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে অনুসন্ধান করেন। অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয় দীপক সাকারী নিয়োগ বোর্ডের কোন সদস্য ছিলেন না। তাছাড়া নিয়োগ নিয়ে তিনি কোন প্রকার প্রভাব খাটাননি। নিয়োগকালিন সময়ে বেশিরভাগ সময় তিনি কর্মস্থল এলাকায় ছিলেন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের কারো সাথে তিনি কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন করেছেন এমন কোন প্রমান মেলেনি। যারা তার বিরূদ্ধে অভিযোগ করছেন, তারা কেউ তার বিরূদ্ধে কোন প্রকার দালিলিক প্রমান দেখাতে পারেননি। এমনকি মৌখিকভাবে কোন দৃঢ় সাক্ষ্য দিতে পারেননি। হিজলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসিবুর রহমান জানান, দীপক সাকারী একজন সৎ ও ভদ্র মানুষ। তিনি বিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে কোন দিন কোন সুপারিশ করেননি বা কোন হস্তক্ষেপ করেননি। অহেতুক খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তার বিরূদ্ধে কিছু লোক উঠেপড়ে লেগেছে।
ওই চক্রের কতিপয় ব্যক্তি গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে দীপক সাকারীর বিরূদ্ধে মিথ্যাচার করে। হিজলডাঙ্গা গ্রামের মনোরঞ্জন বলেন দীপক সাকারী একজন ভদ্র মানুষ। কয়েকজন ধান্দাবাজ অসৎ উদ্দেশ্যে অপপ্রচাওে লিপ্ত হয়েছে। তিনি প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন , এদের বিরূদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এরা এলাকার ও বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করবে। এদের কারনে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে।