হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলে এসএসসি পরীক্ষার্থীর পায়ের রগ কাটার ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নড়াইল সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিয়ান মোল্যার দাদী মাসুমা বেগম।
মামলার আসামিরা হলেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম পলাশ, শিবশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রেমিকার মা রুমানা পারভীন (কেয়া) ও তার ছেলে মোস্তাইন হাবিব (এলহান), দক্ষিণ নড়াইলের আফছার শেখের ছেলে তুষার শেখ, নুর ইসলামের ছেলে রয়েল শেখ ও একই এলাকার নিশি।
স্থানীয়রা জানান, নড়াইল শহরের আলাদাতপুর এলাকার স্কুলশিক্ষক রুমানা পারভীন কেয়া’র মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলছাত্র আরিয়ানের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। মেয়ের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন এসম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। এ কারনে প্রেমিকার মায়ের নির্দেশে প্রেমিক আরিয়ানের পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ তাদের।
আরিয়ানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরের একটি বে-সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরিয়ান জানায়, সে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে ছিল । এসময় আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম পলাশ তাদের বাড়িতে গিয়ে আরিয়ানকে ডাকা-ডাকি করেন। কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ নড়াইল এলাকার তুষার শেখ ও রয়েল মোল্যা গিয়ে আরিয়ানকে জোর করে প্রাইভেটকারে উঠায়। এসময় প্রাইভেটকারে আরও দু’জন নারী ছিলেন। এরপর আরিয়ানকে নড়াইল- গোবরা সড়কের কাড়ারবিলে মাছের ঘেরে নিয়ে যায় তারা। সেখানে নিয়ে তুষার, রয়েল ও এলান আরিয়ানের হাত-পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় আরিয়ানের ডান পায়ের রগ কেটে গেছে। আরিয়ান বলে, জীবন বাঁচতে ওদের (সন্ত্রাসী) হাত-পা ধরেছি। অনেক অনুননয় বিনয় করেও কোন কাজ হয়নি। তারা এলোপতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম পলাশ বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
নড়াইল সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।