ভাঙন থেকে রক্ষা করতে নদীর পাড়ে হুমকির মুখে থাকা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গণভবন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তন থেকে একনেক বৈঠকে অংশ নেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, আমরা যে নদীর পাড়ে ঘরবাড়ি বানাই, তখন কি আমরা চিন্তা করি কোথায় বানাচ্ছি? বানিয়ে চলে গেলেন, নদী ভেঙে নিয়ে গেলো। এটা ঠিক না। নদীর চরিত্র বুঝতে হবে। জেনেশুনে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সব জায়গায় সবকিছু নির্মাণ করা যাবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুন্সিগঞ্জে টিনের বাড়ি দোতলা দেখা যায়। সুন্দর সুন্দর একতলা, দোতলা। কারণ তারা পদ্মার পাড়ে বাস করতো। পদ্মা ভাঙার সময় আসলে তারা উঠিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দিতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আপনারা মডেল ডেভেলপ করেন। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কলেজ যেগুলো হুমকির সম্মুখীন, সেগুলো আমরা যেন তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিতে পারি। যাতে করে গোটা বিল্ডিং না খেয়ে ফেলে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত নুরুদ্দিন মাদবর এসএডিপি উচ্চ বিদ্যালয় গভীর রাতে নদীগর্ভে চলে যায়। এই স্কুলটি ছিল চরাঞ্চলের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশাল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ব্যথিত। তাই নদীর মোহনায় এমন ভবন নির্মাণ করতে হবে যেন দ্রæত সরিয়ে নেওয়া যায়।