বিজ্ঞপ্তি : সরকার ২০২০ সালের ২ জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ২৬টি পাটকল করোনা মহামারীর মধ্যে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে। তিন বছর পার হয়ে গেলেও মিলগুলো কোনভাবে উৎপাদনে যেতে পারিনি। অতি সম্প্রতি খুলনাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পাটকল লীজ দেওয়া শুরু করেছে। খুলনা অঞ্চলে জেজেআই ও দৌলতপুর জুট মিল ইতোমধ্যে ইজারাদারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত সোমবার পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের এক মতবিনিময় সভা থেকে পাটকল লীজ দেওয়ার জন্য তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, মিলের শ্রমিকদের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করে কোনভাবে মিল চালু করতে পারে না। বিশেষভাবে অস্থায়ী শ্রমিক দিয়ে পরিচিত পাঁচটি পাটকল যারা এখন পর্যন্ত কোন টাকা তারা পাইনি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে লীজ বাতিল করে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল রাষ্ট্রীয়ভাবে চালুর দাবি করেন। নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক এড. কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এস এ রশীদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. মনোজ দাস, গাজী নওশের আলী, জনার্দন দত্ত নান্টু, মোজাম্মেল হক খান, শামসেদ আলম শোমশের, নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান বাবু, আব্দুল করিম, শেখ আব্দুল হান্নান, অলিয়ার রহমান, মনির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, নুর মোহাম্মদ, কোহিনুর আক্তার কনা, শামস্ শারফিন শ্যামন, আলা আমিন শেখ প্রমুখ। সভায় আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মিলে মিলে সভা ও ১৩ সেপ্টেম্বর খালিশপুরে কর্মীসভার মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।