জন্মভূমি রিপোর্ট : বাংলাদেশে নারী ও কিশোরীদের সহজে তথ্য প্রাপ্তি ও সুরক্ষায় ‘যৌথ অ্যাডভোকেসি’ কর্মশালা নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা দলিত সম্প্রদারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসনসহ নানা সমস্যা ও সংকটের কথা বক্তারা তুলে ধরেন।
কলাবরেশন ল্যাব প্রজেক্ট রাউন্ড ৩-এর আওতায় ধ্রুব এলায়েন্স, সিডাবি, সি এম কে এস এবং দৈনিক প্রবাহ পত্রিকার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর অর্থায়নে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শহরের ৭, ৯, ১৪, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২৪ ও ২৫ নাম্বর মোট ১১ টি ওয়ার্ডে তাদের কার্যক্রম চলছে। অনুষ্ঠনে সিভিল সোইটির সংগঠনের প্রতিনিধি ও কমিউনিটি বেইজড অর্গানাইজেশনের নের্তৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তাদের কথার একটি উল্লেখযোগ্য সময় ধরেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যা ও সংকট নিরসনে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার প্রত্যয়ও তাদের বক্তৃতায় প্রকাশ পায়।
বক্তারা বলেন, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত দলিত জনগোষ্ঠীর মা-বোনেরা সন্ধ্যার পর বাইরে যেতে ভয় পায়। সেখানে যৌতুক ও বাল্যবিবাহের ঘটনা বেশি। অর্থ সংকটে তাদের শিক্ষার অধিকার খর্ব হচ্ছে। রয়েছে নিরাপদ পানি ও সেনিটেশনের সংকট। হাসপাতালে সুইপার পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা দলিতদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে কাজ করাচ্ছেন। ২১ নাম্বার ওয়ার্ডে তাদের আবাসস্থল সংলগ্ন সড়কে সড়ক রোড লাইট নেই। একটি ওয়ার্ডে তাদেরকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়া হয়েছে। রায়েরমহল জেলেপাড়াসহ শহরের কয়েকটি প্রান্তে বসবাসরত জেলেরা জেলে কার্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সমাজে পিছিয়ে পড়া দলিত জনগোষ্ঠী একসময় অচ্ছুত ছিল, বিভিন্ন স্থানে খাবারের সময়ও তারা বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা এক বক্তা ক্ষোভের সাথে তুলে ধরেন। আরেকজন বক্তা অনগ্রসর ওই মানুষগুলোর মনস্তাত্বিক সংকীর্ণতার কথাও ব্যক্ত করেন।
শহরের বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাস জমি রয়েছে। যা প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছেন। তাদের কবল থেকে ওই জমি উদ্ধার করে সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সেসব স্থানে সরকার পূণর্বাসন করলে দলিতদের আবাসন সমস্যার সমাধান হয়ে যায় বলে এক বক্তা বলেছেন। কর্মশালায় বলা হয়, সমস্যা গুলো যথাস্থানে জানাতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে যেতে হবে, নতুবা স্থানীয় প্রশাসন বলবেন- আমরা তো সমস্যা-সংকটের কথা জানাইনা।
এলায়েন্স-এর টিম লিডার মোহাম্মদ নাসিমুল হক , বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সভাপতি কৌশিক দে, কমিউনিটি ফারামের যুগ্ন আহবায়ক লাকী আক্তার, দ্রুব এলায়েন্সের ফাউন্ডার মেম্বার উত্তম দাস প্রমূখ সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
নারীর তথ্যাধিকারের কর্মশালায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও সংটের আলোচনা

Leave a comment