
জন্মভূমি ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।
আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর অধীনে হবে তাহলে তারা স্বপ্নের ঘোরে আছে। রাস্তায় যান, বুঝতে পারবেন। মানুষ ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করে না। বলে এ সরকার যাচ্ছে তো?’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের অনন্য কীর্তির মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এই দল তিনি এমন আদর্শিকভাবে তৈরি করেছেন যে মানুষের হৃদয়ে গেঁথে গেছে। মানুষ তাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছে। এ দলকে মানুষ ভালোবাসে বলেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে ভয় পায়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এমন একজন বরপুত্র, সময় তাকে নিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা ছিলেন। কিন্তু কেউ স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে সাহস করেননি। জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করলেন আমি মেজর জিয়া বলছি, স্বাধীনতার ঘোষণা করছি। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, আবার ফিরে এসে চাকরিতে জয়েন্ট করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যাননি। তিনি রাজনীতির লোক নন। কিন্তু তিনি যখন রাজনীতিতে আসলেন তখন গণভোটের ব্যবস্থা করলেন। যা বর্তমান সরকার উঠিয়ে দিয়েছে। অনেকেই তাকে ইসলামী নেতা মনে করেন। তিনি ধর্মীয় মূল্যবোধের নেতা। তার সময় সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে ভালো ছিল। তার ভালোবাসা সব ধর্মের লোকদের প্রতি ছিল। বাংলাদেশ যা কিছুর উপর দাঁড়িয়ে আছে অর্থনীতি, শিক্ষা- সবকিছু তার হাতে গড়া।’
দুদু বলেন, ‘খালেদা জিয়া বিএনপির দ্বিতীয় পিলার। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে যদি কেউ নোবেল পান সেটি পাওয়ার যোগ্য খালেদা জিয়া।’
বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই ডিজিটাল আইন করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সত্য কথা বলে, মানুষের পাশে দাঁড়ায়, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা মানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বললেই তারা কেস করে। আর এগুলো বলা থেকে বিরত রাখতে, মুখ বন্ধ রাখতে ডিজিটাল আইন করা হয়েছে। তবে ডিজিটাল আইন করে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন না।’
দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য। এ জায়গায় কোনো আপস নেই। এটাই শহীদ জিয়া, বেগম জিয়ার রাজনীতি। আর একজন আছেন, যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারেক রহমান। তার নাম শুনলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতিকে একটি জায়গায় নিয়ে এসেছেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীসহ অন্যরা।