
মোঃ এজাজ আলী ঃ
খুলনা মহানগরী ও উপজেলার আশপাশে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বেড়েই চলছে। বাজার, শপিংমল থেকে শুরু করে গ্রামের ভিতর ছোট ছোট মুদির দোকানসহ বিভিন্ন কেনাকাটায় পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম উপাদান নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না পলিথিন ব্যবহার ও উৎপাদন। তবে ২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় র্যব ও জেলা প্রশাসনের অভিযানে নগরীর বড় বাজার এলাকার হকার্স মার্কেটে ১৫ লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ পলিথিনের ব্যবহার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারপর থেকে কিছুদিন ধরে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রন থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে এর ব্যবহার। যে কারনে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিক্রাক অপচনশীল উপাদান পলিথিন ব্যবহারে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সাথে হুমকির মুখে রয়েছে জীব বৈচিত্র। নগরীর বিভিন্ন শপিংমল, কাঁচা বাজার, মাংসের দোকান, মাছের দোকানে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করলে নির্ধিদ্বায় দেওয়া হচ্ছে পলিথিন। এ বিষয়ে নগরীর সচেতন নাগরিক হিসেবে আহসান উল্লাহ বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও এটির ব্যবহার চলছে। যার ফলে মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা। বন্ধ হচ্ছে পয়ঃ নিস্কাসন ব্যবস্থা। দূষিত হচ্ছে বিশুদ্ধ বায়ু প্রবাহ। সেই সাথে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রোগ জীবানু। স্বল্প পুঁজিতে বেশি মুনাফা লাভের জন্য কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়ছে পলিথিন বাণিজ্যে। খালিশপুর চিত্রালী বাজার এলাকার ফল বিক্রেতা আকবর বলেন, পলিথিনের এক কেজির দাম ১৭০ টাকা (নরমাল)। আর একটু ভালো মোলায়েম পলিথিন ২৭০ টাকা। প্রায় ২শ’র মতো থাকে। অথচ নেটের ব্যগের দাম তুলনায় দ্বিগুন বলেন, আমি কোনটা ব্যবহার করবো। তাছাড়া এখন পলিথিন ছাড়া অন্য কোন ব্যাগ চলে না। সব জায়গায় পলিথিনের ব্যবহার চলছে। আমি একা সচেতন হয়ে কি করব। খুলনা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকারক উপাদান পলিথিন শতবছরেও অপচনশীল। নদী-নালা, পুকুর, ড্রেনের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ রোধ করে। এতে করে ফসলি জমি মারাতœক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। তাছাড়া পানি শোষন করতে বাধা প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমাদের চোখের সামনে এই পলিথিনের ব্যবহার দেখছি। আসলে এই পলিথিন ব্যবহারে এক সময় পরিবেশ মারাতœক ক্ষতির মুখে পড়বে। এখন থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের জন্য পাশাপামি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।