জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের সীমান্তে ও ভিসাতে কড়াকড়ি আরোপ করায় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নে নেমেছে বাংলাদেশি ক্রেতা ও পর্যটকের সংখ্যা। ফলে ধস নেমেছে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ অঞ্চলে ব্যবসায়। চার মাস আগে আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতন এবং দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে।
চার মাস আগে আগস্টে শেখ হাসিনার সরকার পতন এবং দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে। এর মধ্যে সম্প্রতি সাবেক ইসকন সদস্য এবং সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের জেরে আরো তিক্ত হয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক। ফলে কড়াকড়ি হয়েছে পর্যটক ও ক্রেতা যাতায়াতে।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার তথ্যমতে, ভারতের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একসময় বাংলাদেশি ক্রেতা ও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ও কোলাহলপূর্ণ থাকত বনগাঁর দোকান এবং হোটেলগুলো। কিন্তু গত চার মাসে একদম নেমে এসেছে ক্রেতাদের সংখ্যা। বাংলাদেশ থেকে মানুষ যাওয়া বন্ধ থাকায় বর্তমানে শহরের বেশিরভাগ হোটেল জনশূন্য। এছাড়া ক্রেতাশূন্যতায় ভুগছে দোকানগুলো।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, বনগাঁ বাজার, মতিগঞ্জ বাজার এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীর এলাকাগুলো একদমই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। সাধারণত মহামারি ছাড়া এমন নির্জন, জনশূন্য বাজার দেখা যায় না। ব্যবসায়ীরা বিরসমুখে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি ক্রেতা ও পর্যটক কমায় শুধু হোটেল ও দোকান নয়, ধস নেমেছে সেখানকার অটো এবং টোটো অপারেটর, রিকশাচালক এবং পোর্টারদের মতো ব্যবসাতেও।
বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ জানান, “গত কয়েক মাসে বনগাঁর ব্যবসা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।”
পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরের বাজারে গিয়েও দেখা যায় রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকানপাট ক্রেতাশূন্য। সেখানকার ব্যবসায়ী গৌতম হালদার বলেন, ‘আমার দোকানের বিক্রি ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।’
১৯৪৭ সালের পর এতটা ব্যবসায়িক ধস বনগাঁয় নামেনি কখনো।
বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে মতিগঞ্জের সন্তোষী লজের সত্ত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘গত ৭০–৮০ বছর ধরে বনগাঁর পর্যটন ব্যবসায় উর্ধ্বগতি ছিল। এবারই সেখানে এত বড় ধরনের ধাক্কা লাগল।
যশোর রোডের মায়ের আশির্বাদ গেস্ট হাউসে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকশূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গেস্ট হাউসটির মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা বলেন, ‘করোনা মহামরির সময় ছাড়া এতটা সঙ্কট আমরা কখনো দেখিনি। বাংলাদেশিরা না আসায় আমাদের হোটেল ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। এ ছাড়া অটো, টোটো ও রিকশাচালকদেরও মাথায় হাত পড়েছে।
নেই বাংলাদেশি ক্রেতা: পশ্চিমবঙ্গে ধস নেমেছে ব্যবসায়
Leave a comment