জন্মভূমি ডেস্ক : উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় জামিনে থাকার পর নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এসে সাতজনকে কারাগারে যেতে হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ জুলাই) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের কারাগারে পাঠান।
সাতজনের মধ্যে আছেন সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপনির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রানাও।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া জানান, গত ২৫ মে দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগদলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিন রানার কাছে পরাজিত হন। নির্বাচন চলাকালে ইউনিয়নের শ্রীপুর বালী মহিষা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে নৌকার সমর্থক যুবলীগনেতা অসীম বিশ্বাস, তাসীম, ভুলন, আরমান মিয়া, মেহেদী হাসান সাদ, মাসুদ পারভেজ খান, শুভ, সেলিম মিয়া, রিয়াদ, গৌরব, ফজল হকসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
পুলিশ প্রায় আধাঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে নেয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক সিদ্ধার্থ শঙ্কর পাল বাদী হয়ে বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রানা, সমর্থক সুজন, শফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, চন্দন ও সালামসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৩০০ থেকে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে ২ জুন সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। ওই মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। আজ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন রানাসহ মামলার সাতজন আসামি নেত্রকোনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।
আদালতের বিচারক মোশতাক আহম্মদ তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মহিবুর রহমান লিটন।
দক্ষিণ বিশিউড়া ইউপির বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ সেলিম গত ১৩ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর শূন্যপদে গত ২৫ মে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।