জন্মভূমি রিপোর্ট : স্কুল শিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন (তয়ন) হত্যার ৫ বছর। গত পাঁচ বছরেও তয়ন হত্যার রায় কার্যকর হয়নি।
২০২০ সালের ৮ মার্চ তয়ন হত্যা মামলায় খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার ৫ আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত মামলার সকল আসামী কারাগারে আছেন। তারা উচ্চ আদালতে আপীল করেছেন।
২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকেলে নিখোঁজ হন তয়ন। তার বাবা বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামি সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন, তিনিসহ তার সহযোগীরা ২৮ আগস্ট রাত ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তয়নকে হত্যা করে মরদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপানা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন। সাইফুলের দেখানো মতে ওই ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে মরহুম স্কুল শিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন (তয়ন) এর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া কামনা করেছেন তার পিতা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা। বর্তমান তার স্ত্রী ও পিতা হারা ৫ বছর বয়সী কণ্যা সন্তান তাজমিন (তাজিন) তার মামা ফটো সাংবাদিক কামরুল আহসান এর বাড়ীতে বসবাস করছে।