পাইকগাছা অফিস : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালে পাইকগাছায় তেমন কোন প্রভাব দেখা যায়নি। আশংকা নিয়ে রোববার সকাল থেকে দোকানদাররা দুই একটা খুলছিল। বাকিগুলো বন্ধ ছিল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাদের দোকান খোলে। পাইকগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে কয়রা ও খুলনা বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এছাড়া দূরপাল্লার ট্রাক, পিকআপ ছাড়াও যাত্রীবাহী মহেন্দ্র, ইজিবাইক, ব্যাটারী ভ্যান ছিল চোখে পড়ার মতো। দোকান পাট খোলা ছিল। দিনব্যাপী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল লক্ষ্য করা গেছে। হরতাল নিয়ে বিরোধী দলের কোন কার্যক্রম দেখা না গেলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা হরতাল বিরোধী মিছিল, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠন রোববার সকালে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের আগে হরতাল বিরোধী মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সমীরণ সাধু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক এমপি অ্যাড. সোহরাব আলী সানা। উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু’র সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশীদুজ্জামান মোড়ল, আওয়ামী লীগ নেতা হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, শংকর দেবনাথ, নির্মল মজুমদার, জিএম ইকরামুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ময়নুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার, কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন, শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু, এসএম রেজাউল হক, বিভূতি ভূষণ সানা, এসএম শামছুর রহমান, যুবলীগ নেতা জগদীশ রায়, কেডি বাবু, গৌরাঙ্গ মন্ডল, সায়েদ আলী কালাই, মিজানুর রহমান, আজিজুল হাকিম, আকরামুল ইসলাম, , মৃগাঙ্ক বিশ্বাস, নাজমা কামাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী, সেক্রেটারি ফাইমিন সরদার, মুক্ত অধিকারী, রামকৃষ্ণ বাছাড়, মাসুদুর রহমান মানিক, এসএম মশিয়ার রহমান, আবির আক্তার আকাশ, রায়হান পারভেজ রনি। এছাড়া অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।