পেরুতে মাদককারবারীদের হামলায় ৭ পুলিশ নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে একটি কোকেন উৎপাদনের জন্য পরিচিত এক উপত্যকায় পুলিশের একটি টহল গাড়িতে অতর্কীত হামলা চালায় বন্দুকধারীরা, যেখানে নিহত হয়েছেন সাত পুলিশ সদস্য। শনিবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। পুলিশে বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর দক্ষিণাঞ্চলে লা কনভেনসিয়ন প্রদেশের কুসকো অঞ্চলের, ভ্রায়েম নামে পরিচিত একটি বিস্তৃত উপত্যকায় (ভ্যালি অফ দ্য রিভারস আপুরিম্যাক, এনি এবং মান্তারো) এ হামলা হয়। এই এলাকাতেই পেরুর ৭৫ শতাংশ কোকেন উৎপাদিত হয়। সেখানকার সশস্ত্র বাহিনী কয়েক দশক ধরে ড্রাগ গ্যাং ও বামপন্থী গোষ্ঠী শাইনিং পাথ-এর একটি অংশের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। জাতীয় পুলিশ টুইটার বার্তায় বলেছে, আমরা ভ্রায়েমের নাটিভিদাদ শহরের কেন্দ্রে একটি পুলিশের গাড়িতে টহল দেয়ার সময় অতর্কিত হামলায় নিহত আমাদের পুলিশ ভাইদের হারানোর জন্য দুঃখিত। সেখানে ৭ পুলিশ কর্মকর্তা মারা গেছে। গত আগস্টে, পেরুভিয়ান আর্মি সন্ত্রাসী শিবির এর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে শাইনিং পাথ-এর নেতা ভিক্টর কুইসপে পালোমিনো বা ‘কমরেড হোসে’কে গুরুতরভাবে আহত করার দাবি করেছিল। দেড় বছর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারীতে, পেরুর সামরিক বাহিনী স্প্যানিশ ভাষায় ‘সেন্ডেরো লুমিনোসো’ নামে এক গুরুতর অভিযান চালিয়ে গেরিলাদের উপর ভ্রায়েম গ্রুপের দুই নম্বর নেতা পেরুর অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড কমরেড ও হোসের ভাই কমরেড রাউলকে হত্যা করে। শাইনিং পাথ-এর প্রায় সকল নেতাই মৃত বা কারারুদ্ধ, কিন্তু তাদের অবশিষ্টাংশের সংখ্যা প্রায় ৩৫০ জন সদস্যের মধ্যে ৮০ জন সশস্ত্র। মাওবাদী গোষ্ঠীটি ১৯৮০ সালে আবির্ভূত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ‘জনযুদ্ধ’ শুরু করে। দেশটির ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের তথ্য অনুসারে, সেনাবাহিনীর সাথে গোষ্ঠীটির পরবর্তী দুই দশকের সংঘর্ষে ৬৯ হাজার নিহত ও বিপুল সংখ্যক লোক নিখোঁজ হয়।