যশোর অফিস : হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড রায় পাবার পর আসামিদের অব্যাহত হুমকি ধামকিতে প্রাণনাশের শঙ্কায় ভুগছেন বাদী যশোরের চৌগাছার একটি পরিবার। আসামিরা বাহিরে থাকায় প্রতিনিয়ত বাদীপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে তারা। এ অবস্থায় দন্ডিত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ওই পরিবারটি। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চৌগাছা উপজেলার স্বর্পরাজপুর গ্রামের নিহত শিশুর ভাই ফারুক হোসেন। তিনি জানান, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট সকালে তার ছোট ভাই বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ৬দিন পর চৌগাছা থানার মির্জাপুর গ্রামের খেজুর ও মেহগনি বাগানে মাথাবিহীন হাত-পা কাটা অবস্থায় মারুফের মৃত দেহ পাওয়া যায়। পরে তাদের মা আবিরুননেছা ৭জনের নাম উল্লেখ করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ১০জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয়। পরবর্তী মামলাটি জেলা জজ আদালত থেকে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মারুফ হত্যার রায়ের ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে বাদী আবিরুননেছা হাইকোর্টে আপিল করেন। এরপর গত সপ্তাহে বিচারপতি সহিদুল করিম ও মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ মামলার ৪জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের পর থেকেই আসামীরা বাদী ও তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকী দিয়ে আসছে। অবিলম্বে আসামীদের আটক ও রায় কার্যকর করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামলার বাদী নিহত শিশুর মা আবিরুননেছা, নিহতের ভাই চাচাতো ভাই মাহাবিয়া বাঁধন, সাইফুল ইসলাম, তৌকীর আহমেদ রনিও সৈকত প্রমুখ।