মান্না দে, ফকিরহাট : বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে লখপুরের কোরবানীর পশুরহাট। ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম অনেক বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছে এবছর বিক্রয় খুব কম লোকসান দিয়েও বিক্রি করতে হচ্ছে।
ফকিরহাট উপজেলার লখপুর পশুরহাটে ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে ভোর থেকে মিনি ট্রাক, নসিমন, করিমন ও ভটভটিবোঝাই করে গরু নিয়ে এসেছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। গরুর পাশাপাশি ছাগলের চাহিদাও রয়েছে এখানে।
হাটে একদিকে যেমন দর কসাকসি চলছে অন্যদিকে তেমন পশু কেনাবেচাও চলছে। আর দাম বেশি হওয়ায় কম বাজেটে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। তবে এবার বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারী গরুর চাহিদা বেশী দেখা গেছে।
বিক্রেতা জানান, বাজারে গো খাদ্যের দাম বেশি। ফলে বছরজুড়ে পশু লালন-পালন করতে খরচ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তাই কোরবানির পশুর দামও বেড়েছে। বেশী দাম থাকায় পশু বিক্রি হচ্ছে কম। অনেকে লেঅকসান দিয়েও পশু বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
লখপুর পশুরহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক এস এম গোলাম রব্বানী বলেন, লখপুর পশুরহাটে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি এখানে ভলেন্টিয়ার টিম রয়েছে। হাটে গরুর আমদানি খুব ভালো। জাল টাকা পরীক্ষা করার জন্য এখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে গবাদিপশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, অত্র উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার পশু। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। উপজেলায় খামারি রয়েছে ১ হাজার। উপজেলার বেতাগা ও লখপুরে পশুরহাটে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে গবাদিপশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।