
শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা : বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে শত শত ফিশিংবোটবহর সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। সাগরে লঘুচাপের কারণে আবহাওয়া দপ্তর ৩নং সতর্ক সংকেত জারী করেছে।
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন ও পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের মৎস্য আড়ৎদার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, লঘুচাপের কারণে গত দুইদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সাগর উত্তাল হওয়ায় মাছ ধরতে না পেরে উপকূলের দিকে ছুটছে ফিশিংবোট। কিছু ফিশিংবোট সুন্দরবনের দুবলার মেহের আলী, ভেদাখালী ও কচিখালী খালে এবং কয়েকশ ফিশিংবোট মহিপুর, খেপুপাড়া, নিদ্রাসখিনা, পাথরঘাটাসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আছে বলে আবুল হোসেন জানান। অপরদিকে, দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ঝুঁিক নিয়ে কতিপয় ফিশিংবোট এখনো সাগরে মাছ ধরছে বলে দুবলার মাঝেরকেল্লা থেকে পাড়েরহাটের জেলে আলাল হোসেন জানিয়েছেন।
বরগুনার তালতলীর নিদ্রাসখিনা থেকে ফিশিংবোট এফবি ভাইভাই এর মাঝি আবু জাফর মোবাইল ফোনে বলেন, মাছ ধরতে গিয়ে প্রবল ঢেউয়ের কারণে সাগরে জাল ফেলতে না পেরে জেলেরা বোট নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছে। শরণখোলার রাজৈর মৎস্য ঘাটের কবীর হোসেন আড়ৎদার বলেন, সাগরে লঘুচাপের ফলে ফিশিংবোটগুলো ঘাটে নোঙর করে আছে।
বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলে মৎস্যজীবিরা সাগরে মাছধরতে গিয়ে বার বার বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে মাছ ধরা বন্ধ রেখে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে ফলে জেলে ও বোট মালিকরা ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়ছে।
সুন্দরবনের জেলেপল্লী দুবলা ফরেষ্ট টহল ফাঁড়ির ফরেষ্টার মোঃ নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগরে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। প্রবল ঝড়োবাতাস বইছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্যোগের কারণে ফিশিংবোটবহরকে সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকায় সহযোগিতা করার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।