By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: বছরে দশ লাখ মানুষের ৫ মাসের জীবিকা সুন্দরবনের শুটকি মাছ
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > বছরে দশ লাখ মানুষের ৫ মাসের জীবিকা সুন্দরবনের শুটকি মাছ
তাজা খবরসাতক্ষীরা

বছরে দশ লাখ মানুষের ৫ মাসের জীবিকা সুন্দরবনের শুটকি মাছ

Last updated: 2025/06/24 at 12:50 PM
করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর :  সুন্দরবনের উপকূলের দুবলার চরে শুঁটকি তৈরির ভরা মৌসুম পাঁচ মাস।এতে কাজ করবে প্রায় ১ লাখ জেলে সঙ্গে কমপক্ষে ১০-১২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় শুঁটকি উৎপাদন যেমন বেশি হয়, তেমনি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানিও চলে পুরো-দমে।এবার দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ রফতানির হয়েছে বলে জানান ‌ব্যবসায়ীরা। দেশের সর্ববৃহৎ শুঁটকি মহালে এই শুঁটকি মহালের সঙ্গে কমপক্ষে ১০-১২ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। শুঁটকি শিল্পের সঙ্গে ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১ লাখ শ্রমিক জড়িত রয়েছেন।দেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশের মাটিতেও বাঙালির রসনায় এ অঞ্চলের শুঁটকি তৃপ্তি জোগাচ্ছে।শুঁটকি পল্লীগুলোতে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়া জাত করণের কাজ।
এভাবে সারাদেশে শুঁটকি তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে লাখো নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান জড়িত।তাই উপকূলীয় অঞ্চলের ছোট-বড় সব শুঁটকি মহালগুলোতে পাঁচ মাস ‌ব্যস্ত সময় পার করেন ‌জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। আর সরকারী সহযোগিতা পেলে এ শিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে আশা তাদের।সুন্দরবনের লালদিয়া, আশার চর, সোনাকাটা, জয়ালভাঙ্গা চরের, শুঁটকি পল্লীতে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬ মাস ধরে চলে শুঁটকি পক্রিয়াজাত করনের কাজ। শুঁটকিকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় হাজার হাজার জেলে ও মৎস্যজীবীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে এসব চরগুলো। সরেজমিনে দেখা যায়, গভীর সাগর থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পাথরঘাটা (বিএফডিসি) ঘাটে ভিড়ছেন।
ব্যবসায়ীরা সেই মাছ কিনে পল্লীতে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর ধুয়েমুছে কাটা-বাছার পর শুঁটকির জন্য বাঁশের তৈরি মাচায় রোদে শুকাচ্ছেন। আবার কেউ বস্তায় ভরছেন শুঁটকি মাছ। প্রচলিত পদ্ধতিতে শুকানো এই শুঁটকি নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। এখানের উৎপাদিত শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি হয়। এ সময় প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি দেখা যায়।এর মধ্যে রূপচাঁদা, ছুরি, লইট্যা, কোরাল, সুরমা, পোপা উল্লেখযোগ্য। মধ্য-উপকূল এবং পশ্চিম-উপকূলের বাসিন্দাদের মধ্যে শুঁটকি খাওয়ার প্রবণতা কিছুটা কম থাকলেও পূর্ব-উপকূলের মানুষজনের কাছে শুঁটকি অত্যন্ত প্রিয়।সাধারণত শুঁটকি পল্লীগুলোতে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়া জাত করণের কাজ। জেলে, শ্রমিকরা দিন-রাত কাজ করে । শুঁটকি শ্রমিকরা জানিয়েছেন, নদী থেকে কাঁচা মাছ শুঁটকিপল্লীতে নিয়ে আসার পর নারী শ্রমিকরা সেগুলো পরিষ্কার করেন। এরপর মাছগুলো পরিস্কার পানিতে ধুয়ে মাচায় শুঁকানো হয়। তিন-চার দিনের রোদে মাছগুলো শুঁকিয়ে শক্ত হয়। প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয় এখানে। এর মধ্যে রূপচাঁদা, ছুরি, কোরাল, সুরমা, লইট্টা ও পোয়া অন্যতম। এছাড়াও চিংড়ি, ভোল, মেদসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছেরও রয়েছে অনেক চাহিদা। এ অঞ্চলের শুঁটকি চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। প্রস্তুত করার সময় কোনো প্রকার কীটনাশক বা অতিরিক্ত লবণ দেয়া হয় না বলে এ এলাকার শুঁটকির চাহিদা একটু বেশি থাকে। এছাড়া এখানকার শুঁটকি, মাছের গুঁড়ো সারাদেশে পোল্ট্রি ফার্ম ও ফিস-ফিডের জন্য সরবরাহ হয়ে থাকে। শুঁটকি শ্রমিকরা জানান, আধুনিক পদ্ধতিতে শুঁটকি তৈরি করতে চান। আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি করতে পারলে উৎপাদন আরও বাড়তো; এতে শ্রমিক এবং জেলেদেরও কষ্ট কম হতো, সবাই লাভবান হতো।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি কেজি ছুরি মাছের শুঁটকি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা, রূপচান্দা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার, মাইট্যা ৮শ থেকে এক হাজার, লইট্যা ৬শ থেকে ৭শ, চিংড়ি ৭শ থেকে ৯শ এবং অন্যান্য ছোট মাছের শুঁটকি ৩শ থেকে ৫শ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। বরগুনার আড়তদাররা জানান, প্রতিটি শুঁটকি পল্লী থেকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১শ থেকে ১শ ৫০ মণ মাছ দেশের বিভিন্নস্থানে রপ্তানি হচ্ছে। কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা আনারুল হক ‌জানিয়েছেন, এখানে কোনও কোনও দিন দুই কোটি টাকার বেশি শুঁটকি বিক্রি হয়। আড়তদাররা জানিয়েছেন, প্রতি মণ চিংড়ি-শুঁটকি ২৮ হাজার থেকে ৩৬ হাজার ও লইট্টা ২৪ হাজার থেকে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। শুঁটকি ব্যবসায়ীদের দাবি এখান থেকে সরকারিভাবে এসব শুঁটকি বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। কারণ দেশ থেকে সরকারিভাবে শুঁটকি রপ্তানির কোনো ব্যবস্থা নেই; যদিও মধ্যপ্রাচ্য, ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ আরও অনেক দেশেই বেসরকারিভাবে ‌নানা মাধ্যমে এখানকার শুঁটকি যায়।
মাছ শুকিয়ে শুঁটকি বানানোর প্রথা অনেক পুরনো হলেও বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন হয় মূলত দেশের উপকূলীয় এলাকাতেই। প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০টি ট্রাক অর্থাৎ ৮০ থেকে ৯০ টন শুঁটকি মাছ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। যা স্থানীয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লইট্যা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, ফাইস্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছুরি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট পোয়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, রইস্যা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, রূপচাঁদা ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা, লাক্ষা ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা, মাইট্যা ৫০০ থেকে ৭০০, বড় চিংড়ি (চাগাইচা) ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে।
বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে শুঁটকি তৈরি হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টন। এর অধিকাংশ প্রাকৃতিক উপায়ে অর্থাৎ রৌদ্রে শুঁকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। শুঁটকি তৈরিতে ১৬টি কারখানা ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে যেখানে রৌদ্রের পরিবর্তে বিদ্যুতের তাপে মাছ শুকানো হয়। মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয়Ñ কুয়াকাটা, দুবলারচর, বাঁশখালী, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, সোনাদিয়া, রাঙ্গুনিয়া, খুরুশকুল, ঘোরকঘাটা, চকোরিয়া, সেন্টমার্টিন, নাজিরের টেক, সোনারচর, কক্সবাজার, আশারচর ইত্যাদি স্থানে। জনপ্রিয় শুঁটকি তালিকায় রয়েছে ছুরি, লইট্টা, রূপচাঁদা, কোরাল, লাক্ষ্যা, সুরমা, পোপা, ফাইস্যা, কাতরা, বিসা, রিঠা, হাঙ্গর, কাইক্যা, বাচা, চান্দা প্রভৃতি। বিশেষত বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ অঞ্চলের হাওড়-বাঁওড়, নদী-নালা, খাল-বিলের মাছ রৌদ্রে শুকিয়ে শুঁটকি করা হয়। প্রাফত তথ্যে জানা যায়, সারা বছর সমুদ্র থেকে মাছ ধরা হলেও শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ করা অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। আমাদের দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা
এছাড়াও শুঁটকি মহালের মাছের গুড়ি সারাদেশে পোল্ট্রি ফার্ম ও ফিস ফিডের জন্য সরবরাহ হয়ে থাকে শুটকি মাছের গুঁড়ো ও খসা থেকে ম্যাজিক সার ও তৈরি হয়। ঢাকার বড় বড় ফিস ফিডের ফার্মসহ দিনাজপুর, নরসিংদী, চট্টগ্রামেও চাহিদা মেটায়। প্রতি মৌসুমে নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল থেকে লইট্টা, পাইশ্যা, পোয়া, ছুরি, মাইট্যা, কেচকি, রূপচাঁদসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিদেশে রফতানিসহ ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।উপকূলে ও সুন্দরবনের সাগর পারে ‌শুঁটকি উৎপাদন হয় বছরে মাত্র পাঁচ মাস। এবার দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ রফতানির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র বলেছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬২৩ মেট্রিক টন শুঁটকি বিদেশে রপ্তানি করা হয় (২০১৭-১৮ অর্থবছরে হিসাব) দেশে ৮-১০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ বাণিজ্যিকভাবে শুঁটকি করা হয়। সমুদ্র উপকূলের নিকটবর্তী দ্বীপের পলি মাটিতে কৃষি আবাদ বহু মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছে।সয়াবিনের মতো অর্থকরী ফসল উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটেছে উপকূলে। সমুদ্র সৈকতের খনিজ বালু এই জনপদের আরেক সম্ভাবনা। পর্যটন খাতেও উপকূল জুড়ে রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা। উপকূলজুড়ে শুঁটকি উৎপাদনের বিরাট সম্ভাবনা থাকলেও পদে পদে রয়েছে বাধা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আর বাজারজাতকরণে বহুমূখী সমস্যার কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই শিল্প থেকে আরও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এ শিল্পে জীবিকা নির্বাহ হতে পারে লাখো লাখো মানুষের।
এক কেজি শুঁটকি মাছ তৈরিতে প্রজাতি ভেদে প্রায় ৩-৫ কেজি কাঁচা মাছ প্রয়োজন। উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন শুঁটকির জন্য সমুদ্র থেকে মাছ সংগ্রহ করে। অধিকাংশ এলাকায় প্রচলিত নিয়মে সূর্যের আলো ব্যবহার করে শুঁটকি শুকানো হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের জন্য শুঁটকির প্রক্রিয়াজাতকরণকালে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর কেমিক্যাল বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই ক্ষতির দিক বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মত শুঁটকি উৎপাদনের বেশকিছু বেসরকারি উদ্যোগ চোখে পড়ছে।বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জলিলুর রহমান উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তির ড্রায়ারটির নাম ‘বিএফআরআই ফিশ ড্রায়ার’। এই ড্রায়ারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত ও উন্নত গুণগতমানসম্পন্ন শুঁটকি মাছ তৈরি করা সম্ভব। বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের মৎস্য উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিউদ্দিন মশারির জালে ঢাকা ট্যানেল এবং হলুদ-মরিচ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। এই প্রযুক্তির ট্যানেল তৈরিতে ব্যয় অন্য প্রযুক্তিগুলির তুলনায় অত্যন্ত কম ও ব্যবহার পদ্ধতি খুবই সহজ এবং উৎপাদনকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য।
প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি শুঁটকিখাতের অন্যান্য সংকটেরও সমাধান করতে হবে। সে কথাই বললেন কক্সবাজারের নাজিরারটেক শুঁটকি ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি, কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদসহ শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, নাজিরেরটেক শুঁটকি মহাল থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও, বহু লোকের কর্মসংস্থান হলেও এর সম্ভাবনা বিকাশে সরকারের বিশেষ নজর নেই। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, জেলেদের দাদন মুক্ত করা গেলে এবং শুঁটকি বাজারজাতকরণের সমস্যাসমূহ দূর করতে পারলে উপকূলের শুঁটকি বিরাট সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাসানুর রহমান এই প্রতিবেদককে ‌জানান, এ বছরে শুঁটকি আহরণের জন্য এক হাজার ৪০টি জেলে ঘর, পাঁচটি ডিপো ঘর ও সাতটি অস্থায়ী দোকান ঘর তৈরির অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির আওতাধীন অফিস কিল্লা-মাঝের কিল্লা, মেহেরআলীর চর, আলোরকোল, নারিকেল বাড়িয়া ও শেলারচরে শুঁটকি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি আহরণের কার্যক্রম চলবে। ডি এফ ও জানান, জেলেরা শুঁটকি পল্লীতে অবস্থানকালে তাদের ঘর তৈরি ও অন্যান্য কাজে সুন্দরবনের কাঠ, গোলপাতাসহ কোনো সম্পদ ব্যবহার করতে পারবে না। ২৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থ নির্ধারণ করে ঘরের মাপও ঠিক করে দেয়া হয়। শুঁটকি প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত সবকিছুই তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে নিয়ে আসতে হবে। শুধুমাত্র গভীর বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ আহরণ করে সুন্দরবনের উল্লেখিত পাঁচটি চর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
বনবিভাগের এসব শর্ত কেউ ভঙ করলে তার বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত বছর শুঁটকি খাত থেকে দুই কোটি ৭১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এ বছরে আরো বেশি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মোঃ ইমরান আহমেদ জানান, পাস-পারমিট ছাড়া জেলে ও মৎস্যজীবীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করলে এবং জেলেদের কাছ থেকে সুন্দরবন বিভাগের কেউ টাকা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে চলতি মৌসময়ের ‌‌শুরুতেই নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে থাকে ‌বন বিভাগ। এ ব্যাপারে দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদ জানান, প্রতি বছর চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট,মোরেলগঞ্জ  ,শরণখোলা, মোংলা, রামপাল, দাকোপ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার জেলে দুর্যোগসহ বিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে শুঁটকি উৎপাদন কাজ করেন। এ খাত থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও জেলেদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র বা চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা নেই। এদিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

করেস্পন্ডেন্ট June 25, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থলবন্দরের ভূমিকা :সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
Next Article ফকিরহাটে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রশিবিরের দোয়া

দিনপঞ্জি

June 2025
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
« May    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
বরিশাল

মাদারীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যকে পিটিয়ে আহত

By করেস্পন্ডেন্ট 37 minutes ago
মহানগর

নগরীতে তিন অসাধু ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

By করেস্পন্ডেন্ট 46 minutes ago
সাতক্ষীরা

শ্যামনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক৪

By করেস্পন্ডেন্ট 51 minutes ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

সাতক্ষীরা

শ্যামনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক৪

By করেস্পন্ডেন্ট 51 minutes ago
সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় স্বর্ণের বারসহ নারী আটক

By করেস্পন্ডেন্ট 6 hours ago
জাতীয়তাজা খবর

পৃথিবী ধ্বংসে একই অপরাধ আমরা করে যাচ্ছি প্রতিদিন: প্রধান উপদেষ্টা

By করেস্পন্ডেন্ট 7 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?