বটিয়াঘাটায় বিএনপি নেতা শামসুল হকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

তরিকুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য এসএম শামসুল হকের বিরুদ্ধে থানায় দুই লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একই অভিযোগ দয়ের হয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলা আহবায়ক কমিটির নিকট। বাদামতলা গ্রামের বিধবা মহিলা বিথীকা বৈরাগী তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, করোনাকালিন সময়ে বয়ারভাঙ্গা গ্রামের দীপক সরদার তার নিকট থেকে আড়াই লাখ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করেন। পট পরিবর্তনের পর সংবাদটি জানতে পেরে শামসুল হক বিথীকার বাড়িতে যায়। সবকিছু শুনে নিজেকে বিএনপি’র বড় নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়। বলে- থানাও তার পকেটে থাকে। উপজেলা বিএনপি তার কথায় উঠাবসা করে। সে টাকা আদায় করে দিবে। পরে প্রতারক শামসুল হক দিপককে বিথীকার বাড়িতে ডেকে এনে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর করে নিজের কাছে রাখে। চুক্তি কালে বলাবুনিয়া গ্রামের স্বপন বৈরাগী, বশিরাবাদ গ্রামের রঞ্জন মিস্ত্রী ও শামসুল হকের তিন সহযোগী উপস্থিত ছিলেন। পরে দিপককে বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে সমুদয় টাকা আদায় করে নেয়। সংবাদটি জানতে পেরে বিথীকা টাকা চাইলে শামসুল হক চোখ পাল্টিয়ে দেয়। অনেক অনুরোধের পর মাত্র ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকী টাকা দিয়ে দামী মটর সাইকেল কিনে উপজেলা সদর দাপিয়ে চলেছে। বিথীকা অসুস্থ হওয়ায় তার মেয়ে শামসুল হকের নিকট টাকা চেয়ে ফোন করলে তাকে মানহানিকর কথা বলে। নিজেকে বিএনপি’র বড় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলে, এর পরে টাকা চাইলে বিপদে পড়বি। এমনকি জীবননাশের হুমকীও দেয়। উপায় না পেয়ে বিথীকা আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী বিথীকা বৈরাগী বলেন, শামসুল হকের বিরুদ্ধে বিষয়টি নিয়ে গত ১৪ মে বটিয়াঘাটা থানায় ও উপজেলা বিএনপি’র নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য সামসুল হকের বিরুদ্ধে এর পূর্বেও বিভিন্ন অভিযোগ হওয়ায় গত ১৬/৯/২০২৪ তারিখ সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ পদ থেকে উপজেলা বিএনপি তাকে অব্যাহতি দেয়। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি গ্যাস কোম্পানি থেকে অর্ধলক্ষ টাকা চাঁদা গ্রহণের অডিও ভাইরাল হয়। এছাড়া সরকারি জায়গা দখল, ঘের দখল ও চাঁদাবাজীর বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
সার্বিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এজাজুর রহমান শামীম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়েছি বিষয়টি সত্য। অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে শামসুল হকের নিকট জানতে চাইলে বলেন, আমার কাছে আর মাত্র ২৪ হাজার টাাকা পাবে। বাকি টাকা দিয়ে দিছি।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।