জন্মভূমি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ সচিবালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় বন্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্যায় পানির উচ্চতা বিশেষ করে যমুনা ও পদ্মা অববাহিকায় বেড়ে যাচ্ছে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেন।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সময় কৃষিমন্ত্রীকে আমন চাষে কোনো অসুবিধা হলে ট্রান্সপ্লান্ট আমনের (টি-আমন) জালা প্রস্তুত রাখতে বলেছেন। কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে। আশা করছি, বন্যার কারণে এ ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না।
সচিব আরো বলেন, কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন যেসব এলাকায় পানি বেড়ে যায়, বিশেষ করে গোয়ালন্দের পরে যমুনা ও পদ্মা যেখানে একসঙ্গে হয়েছে, এসব এলাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে। কোনো এলাকায় যদি ভাদ্র মাসে পানি আসে আর বঙ্গোপসাগরে যদি জোয়ার থাকে তাহলে পানি নামতে দেরি হয়। সেক্ষেত্রে আমন চাষে কোনো অসুবিধা হলে, টি-আমন জালা প্রস্তুত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, কৃষিমন্ত্রী বলেছেন যে, ৬০ লাখ একর জমিতে আমন চাষের কথা থাকলেও ইতোমধ্যে ৫৭ লাখ একর জমিতে চাষ হয়ে গেছে। তারা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আছেন। সুতরাং তাদের প্রস্তুতি আছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা যাতে নির্বিঘেœ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করতে পারি সে পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এজন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আইনের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
তিনি আরো বলেন, এজন্য ‘বিদ্যুৎ জ¦ালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন কেবল আগের আইনটার মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে যে, আইনটি খুবই কার্যকর তাই তাদের আরও পাঁচ বছর দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা ছিল স্পেশাল প্রভিশন আইন। ২০১০ সালে বিভিন্ন স্পেশাল প্রভিশন প্রয়োজন হলো। জেনারেল যে ক্রয় প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এটার বাইরে কিছু এক্সট্রা লাগবে। সেটার জন্য এই আইন করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে এটা কার্যকর, ভালই চলছে। এজন্য মন্ত্রণালয় আরও পাঁচ বছর সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে ‘সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং ‘বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
বন্যা মোকাবেলায় সকলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
Leave a comment