সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনাগর : টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা জেলা শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছোট ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার(২০জুন) সকালেও জেলার বেশ কিছু এলাকায় পানি জমে রাস্তাঘাট ও বাজারে চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলা, বাঁকাল, কাটিয়া, মুনজিতপুর, তালা ও কলারোয়ার কিছু অংশে বাসাবাড়ির সামনে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও ড্রেন উপচে পানি রাস্তায় উঠে এসেছে।
জেলার কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা রাশেদা খাতুন বলেন, বাসার সামনে রাস্তায় হাঁটুপানি। বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। বৃষ্টির পানি সরানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। দুই দিনের বৃষ্টিতে এই অবস্থা।
একই চিত্র দেখা গেছে বুধহাটায় বাজারে, সেখানকার এক দোকানি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি জমে দোকানে ঢুকে পড়েছে। লোকজন আসছে না, তাই বিক্রি বন্ধ।
ইজিবাইক চালক রবিউল ইসলাম বলেন, রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছি না। বের হলেও ভাড়া নেই, লোকজন ঘরেই বসে আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আরও কয়েক দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
বৃষ্টির কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নিচু ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একদিকে কাজ নেই, অন্যদিকে বাড়ির সামনেই জমে থাকা পানি চলাচলও কঠিন করে তুলেছে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভা বাঁশি অতিষ্ঠ হয়ে দুষছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ সায়ারের খালসহ।অন্যান্য খাল গুলো খননে অনিয়ম হয়েছে বলে তারা জানান। কিন্তু সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন সরকারের নিয়ম-নীতি মেনে খাল খনন করা হয়েছে কিন্তু বড় সমস্যা ময়লা আবর্জনা পলিথিন প্লাস্টিক ফেলিয়ে আবারও সাতক্ষীরা প্রাণ সাহেবের খালসহ অন্যান্য খাল গুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে, সে কারণে শহরের পানি দ্রুত সরবরাহে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য সকলকে সজাগ না হলে কতবার সরকার সাতক্ষীরার প্রাণ সাহেবের খাল সহ অন্যান্য খাল খনন করে পারবে। এ ব্যাপারে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সাথে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন সাতক্ষীরা জলবদ্ধতা এটা একদিনের বিষয় নয় দীর্ঘদিন ধরে চলমান হয়ে আসছে সাতক্ষীরা প্রাণশায়ারের খাল খনন করা হয়েছে তবুও জলবদ্ধতা নিরাশন কাটছে না এর একমাত্র কারণ সাতক্ষীরা শহরে জন বসতির সংখ্যা অনেক বেশি প্রতিদিন ময়লা আবর্জানা পলিথিন প্লাস্টিক সব নিয়ে ফেলছে প্রাণ সাহেবের খালে। তিনি আরো বলেন এগুলো বন্ধ করতে হবে, তা না হলে পানি নিষ্কাশনে মারাত্মক বিপাকে পড়তে হবে সাতক্ষীরা শহরবাসীকে। মিস্টার মোস্তাক আহমেদ এই প্রতিবেদককে আরো বলেন সাতক্ষীরা প্রাণ সাহেবের খালসহ যতগুলো খালে বৃষ্টির পানির বাধা সৃষ্টি করছে সেই সমস্ত খাল গুলো আবার পুনর খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বসে আমরা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠিয়েছি অতি দ্রুতই এটি অনুমোদন হলে সাতক্ষীরার সকল খাল আবার পুনর খনন করা হবে।
বর্ষাকাল আসতে না আসতেই সাতক্ষীরা জলবদ্ধতা
