ক্রীড়া প্রতিবেদক : সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়েই এবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের সে স্বপ্ন খেয়েছে বিশাল এক ধাক্কা। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেললেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমটি ছাড়া বাকি চারটিতেই টানা হারের স্বাদ নিতে হয়েছে। ফলে কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন।
চার হারের পর জয়ে ফেরার লক্ষ্যে আজ আসরে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের খোঁজে আজ মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস। বাঁচা-মরার ম্যাচে বাংলাদেশ যেমন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চায় তেমনি নেদারল্যান্ডসও চায় কমলা উৎসবে কলকাতা রাঙাতে। এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে ২২৯ রানে গুটিয়ে যায় এডওয়ার্ডসের দল।
টসে হেরে আগে বল করতে নেমে আজ শুরু থেকেই আগুনে বোলিং করেছেন দুই টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের করা প্রথম ওভার দুই ডাচ ওপেনার পার করতে পারলেও বিপাকে পড়ে দ্বিতীয় ওভারেই। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে চতুর্থ বলেই বিক্রমজিতকে সাজঘরে পাঠান তাসকিন।
এই ডানহাতি পেসারের লেগ স্টাম্পের ওপরে করা ফুল লেংথের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অফে সহজ ক্যাচ দেন বিক্রমজিত সিং। সাকিবের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩ রান। পরের ওভারে আরেক ওপেনারকে ফিরিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মারতে গিয়ে আউট হন ম্যাক্সও’ডাউড।
দ্রুত দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডস। মুস্তাফিজ ৪১ রান করে ওয়েসলি বারোসিকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভাঙে ৫৯ রানের এই জুটি। এরপর উইকেটে এসে বেশ সতর্ক ছিলেন কলিন অ্যাকারম্যান। কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি।
তবে সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। শর্ট-ফাইনলেগে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান। ৬৩ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ডাচর যখন ধুঁকছিল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন এডওয়ার্ডস।
তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন বাস ডি লিডি। তবে উইকেটে থিতু হয়ে ফিরেছেন লিডি। তাসকিনের ব্যক অব লেন্থের বল কাট করতে গিয়ে উইকেট পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান। লিডি আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রেখে উইকেটে থেকে নিজের অর্ধশত রান তুলে নেন ডাচ অধিনায়ক। তবে ফিফটির পর ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি।
দলীয় ১৮৫ আনে মুস্তাফিজ বলে এডওয়ার্ডস আউট হলে ভাঙে সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখটের সঙ্গে করা ৭৮ রানের জুটি। আউট হাবার আগে ডাচ অধিনায়ক করেন ৬৮ রান। সঙ্গী আউট হবার পর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকননি এডওয়ার্ডসও। দলীয় ১৮৫ রানে ফেরেন তিনিও। প্যাভিলিয়নের পথে যাবার আগে ৬১ বলে ৩৫ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২২৯ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা।