মোল্লা আব্দুর রব, বাগেরহাট : বাগেরহাট সদর উপজেলার একটি শিক্ষক পরিবারের জমি থেকে বে-আইনীভাবে মাটি কেটে বাধ নির্মান ও পরিবারের সদস্যদের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সদর উপজেলার বারাকপুর গ্রামের ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস তার পাশ্ববর্তী রনজিৎ বিশ^াস ও তার ছেলে স্বজল বিশ^াসকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আমি ২০০৫ সালে বারাকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহন করি। এখন আমার ছেলে শিবসংকর বিশ^াস ও দুই মেয়ে সবাই সরকারী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকতা পেশায় নিয়োজিত। আমার বাড়ির পাশের্^ই বারাকপুর মৌজায় ১১৭নং খতিয়ানে যার ডিপি নং-১২৯ এ ৫১ শতক জমি রয়েছে। যা ২০০৪ সালে স্থানীয় মনোজ বিশ^াস ও লিটন বিশ^াসের কাজ থেকে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। গত ২৯ মার্চ পাশ্ববর্তী রনজিৎ বিশ^াস ও তার ছেলে সন্ত্রাসী স্বজল বিশ^াস ভেকু দিয়ে মাটি কাটার জন্য আমাদের জমিতে বে আইনী ভাবে প্রবেশ করে। তারা আমাদের জায়গা দিয়ে মাটি কেটে বেড়িবাধ দিলে আমি ও আমার ছেলে বাধা প্রদান করি। তারা কোন ভাবেই আমাদের বাধা না শুনে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। আমরা বিষয়টি দ্রুত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তার হস্তক্ষেতে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়।
এ ঘটনার পর থেকেই তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রনজিৎ বিশ^াস ও তার ছেলে স্বজল বিশ^াসসহ কিছু বখাটে আমাদের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদানসহ প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেয় । তারা আমার ছেলে মেয়েদের বাড়ি থেকে বের হলে এ্যাসিড নিক্ষেফসহ প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এখন তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে ভয় পাচ্ছে ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ঘটনায় পাশর্^বর্তী চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, রনজিৎ বিশ^াস পাশর্^বর্তী বিকাশ চন্দ্র বিশ^াসের জাগয়া থেকে মাটি কেটে আমার ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তারা আমার জায়গা থেকে জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমি বাধার প্রদান করলে তারা গালিগালাজ করে দা নিয়ে কোপাতে আসে,স্বজল বিশ্বাস একজন চিহ্নিত মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী। আমি এর পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরন চাই।প্রতিবেশী শ্য্রামলী বলেন,স্বজল বিশ্বাস একজন সন্ত্রাসী মাদক কারবারী আমাকে সে হত্যা করতে চায়। আমার হাসমুরগী জোর পুর্বক ধরে নিয়ে জবাই করে খায় আমি কোথাও অভিযোগ দিলে আরো বেপরোয়া আচারন করে।এবিষয়ে রনজিৎ বিশ্বাস অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন প্রতিবেশীদের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধ আছে,তবে আমার ছেলে পার্টি করে তাই বন্দু বান্দবের সাথে মিশে মাদক সেবন করতে পারে তবে বিক্রি করে না।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার ষাট-গম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, অভিযোগ পেয়ে মাটি কেটে বাধ নির্মানের কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বাগেরহাটে শিক্ষক পরিবারকে প্রাননাশের হুমকি
Leave a comment