সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর : শ্যামনগরে আলোচিত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি লুটপাট অগ্নি সংযোগের ঘটনায় সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম১৫ মে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহোদয়ের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তি শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মৃত্যু ইন্তাজ গাজীর পুত্র সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন গাজীসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেন। সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাত নদী পত্রিকার শ্যামনগর নিজস্ব প্রতিনিধ, খুলনা থেকে বহুল প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধ, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক আমার সময় পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ভোরের পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি ,ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সকালের বাংলার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গত পাঁচ ই আগস্ট রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে উপরোক্ত সিপিজি সদস্য আবুল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযুক্ত ৫৩ জন বিএনপি’র নামে উল্লাস করে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে স্বর্ণালংকার নগদ টাকা সহ অন্যান্য যাবতীয় মালামাল যার আনুমানিক মূল্য আড়াই কোটি টাকা ডাকাতি ও লুট করে নেয় ।পরে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির সকল ঘরগুলোতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়, পরে তারা বিএনপি’র পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তারা অনেকেই বিএনপি’র পথ পদবীতে আছে আবার অনেকেই বিএনপির সমর্থক হিসেবে রয়েছে বলে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগে বলা হয়েছে,,, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগে আরো বলা হয় এখানেও ক্ষান্ত হয়নি সিপিজির সদস্য আবুল হোসেন গংরা তারা এখনো পর্যন্ত বিএনপির নাম ব্যবহার করে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ির গেট গ্রিল থাই গ্লাস সবকিছু খুলে নিয়ে গেছে। তার অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিরা প্রকাশ্য বলছেন আমরা এই টাকা দলের বিভিন্ন কার্যক্রমের কাজে ব্যবহার করব কারো কিছু করার থাকলে করে দেখাক,, সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন সহ উপরোক্ত ৫৩ জন অভিযুক্ত ব্যক্তি এলাকায় কোন সাধারণ মানুষকে মুখ খুলতে দেয় না সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত বাড়িটির ছবি ও কাউকে তুলতে দেয় না সব সময়ের জন্য সেখানে পাহারায় লোক রেখেছে। সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগে আরো বলা হয়েছে ওই এলাকার মানুষ অত্যন্ত হত দরিদ্র সকলের জীবিকা নির্বাহ হয় সুন্দরবন থেকে সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন সুন্দরবনের বনরক্ষিতের সাথে জড়িত থাকায় এলাকার সাধারণ প্রত্যেকটা মানুষকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখিয়ে আসছে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে তাকে সুন্দরবনে মাছ কাকড়া আহারণ করতে যেতে দেওয়া হবে না। এ কথার অমান্যকারী কয়েকজনকে ইতিমধ্য সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন গংরা বাড়ির ঘাট হইতে নৌকা নিয়ে নৌকায় কীটনাশক ও সুন্দরবনের অবৈধ কাঠ দিয়ে ফরেস্ট অফিসে জমা দিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বনবিভাগকে ভুল বুঝিয়ে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বন মামলা দিতে বন বিভাগ কে বাধ্য করিয়েছে। এখনো পর্যন্ত সিপিজে সদস্য বিএনপি সমর্থিত আবুল হোসেন গং বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি চাঁদাবাজি ছিনতাই অহরহ করে চলছে এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল তারা কয়েকবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন এই বড় দলের মারাত্মক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে সাংবাদিক ইসলাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন। সে কারণে বিএনপি’র মহাসচিবের কাছে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগ এক্ষুনি দলের বদনাম কে ঘোচাতে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সিপিজি সদস্য বিএনপি সমর্থিত এবং একাধিক ডাকাতি ছিনতাই চাঁদাবাজি বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার আসামি আবুল হোসেন সহ অভিযুক্ত ৫৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করে দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে মহাসচিবের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন এই আলোচিত সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম,। সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগের অনলিপি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইমেইলেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। উল্লেখ থাকে যে গত ৫আগস্ট সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম মারাত্মক ইনজুরি নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা তার চিকিৎসা সেবায় ঢাকায় নিয়োজিত ছিলেন এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সিপিজি সদস্য আবুল হোসেন সহ ৫৩ জন বিএনপিপন্থী সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে এই ডাকাতি লুটপাট অগ্নি সংযোগের মত ঘটনা ঘটান । বর্তমান সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ঘরে বসবাসের উপযোগী না থাকায় বিভিন্ন জায়গায় বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে মানাবে তোর জীবন যাপন করছে বলে বিএনপি মহাসচিবের কাছে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন,,। সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে অভিযোগে আরো বলেছেন উপরোক্ত এই সমস্ত ব্যক্তিদের কারণে ওই এলাকায় গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষ বলতে চাই বিএনপি এখনো ক্ষমতায় যায়নি তাই এই সমস্ত লোকজন এই করছে আর বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এরা কি করবে বলে সাধারণ মানুষ মারাত্মক ভীতু সঞ্চয়ের উপর বসবাস করছেন। সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি লুটপাট অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটানোর পর এলাকার সংখ্যালঘুরাও মারাত্মক ভয়-ভীতিতে বসবাস করছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন বিষয়টি এক্ষুনি না দেখলে দলের মারাত্মক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে সে কারণে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপি’র মহাসচিব মীরজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে সাংবাদিকুল ইসলাম মনে করেন