বিজ্ঞপ্তি : বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, গত ১৯ মে খুলনায় পুলিশের গুলিতে মহানগর ও জেলার ১৫৪জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৩শ’ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৯জন নেতা-কর্মীতে। এছাড়া বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারের গুলিবর্ষণ চালিয়েছে, অমানবিকভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে আবার ১৩শ’ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এভাবে প্রকাশ্যে পুলিশ গুলি করে নেতা-কর্মীদের পঙ্গু বানাবে এটা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। বিনা উস্কানিতে খুলনার পুলিশ-প্রশাসন এই রক্তাক্ত সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে। এই সহিংস সন্ত্রাসের জন্য দায়ী খুলনার পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার, পুলিশের হয়রানি, নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও পরিবার পরিজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে প্রেসব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ ১৩শ’ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সাথে অহেতুক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, পরিবার পরিজনকে হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করা থেকে বিরত থাকার আহবানসহ চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি না করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রেসব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, স. ম. আব্দুর রহমান, শের আলম শান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, সাইফুর রহমান মিন্টু, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, মুরশিদ কামাল, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, কাজী মিজানুর রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, আহসান উল্লাহ বুলবুল, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, গাজী আফসার উদ্দিন, নাসির খান, আব্দুর রহমান ডিনো, মো. জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, মুজিবুর রহমান, শামসুল বারী পান্না, খান ইসমাইল হোসেন, সেতারা সুলতানা, সিরাজুল ইসলাম লিটন, শহীদ খান, মোস্তফা কামাল, কে এম মাহাবুবুল আলম, শেখ মোঃ আসলাম, আব্দুল আলিম, ওহিদজ্জামান হাওলাদার, জাকির ইকবাল বাপ্পি, মুনতাসির আল মামুন, কাওসারি জাহান মঞ্জু, সাজ্জাদ হোসেন জিতুসহ অনেকে।