
কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি
জন্মভূমি রিপোর্ট
চলমান বিধিনিষেধ শিথিলতার আগেই বাড়ছে মানুষের ভিড়। সেই সঙ্গে ভিন্ন কৌশলে চলছে কেনা-বেচা। চলছে নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়িসহ ছোট-বড় যানবাহন। পাড়া-মহল্লা ও অলি-গলিতে চায়ের আড্ডা থেমে নেই। রাস্তায় কারণে-অকারণে মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। কোথাও নেই স্বাস্থ্যবিধি। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে দু’সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই লোকজনের সমাগম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান খুলে বেচা কেনা করছেন। কোন কোন প্রতিষ্ঠান অর্ধেক সার্টার খুলে বসে রয়েছেন। ক্রেতা আসলে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে সার্টার বন্ধ করে দেন।
বড় বাজার, ক্লে রোড, স্টেশন রোড, ভৈরব স্ট্যান্ড রোড, হার্ড মেটাল গ্যালারী, ডাক বাংলো মোড়, সাহেবের কবরখানা এলাকা, ফেরীঘাট মোড়সহ বেশ কিছু এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে মালিক ও কর্মচারী সারিদ্ধভাবে গায়ে গায়ে মিশে বসে থাকে। মানুষ দেখলেই ক্রেতা ভেবে ডাক দেয়। যাদের মধ্যে থাকেনা সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি। পুলিশ হুইসেল বাজিয়ে আসে। শব্দ শুনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সার্টার বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে গেলে আবার শুরু হয় পূর্বের কর্মকান্ড।
প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে বাড়ছে ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন। নিত্যপণ্যের দোকান সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলার নিয়ম থাকলে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে। হোটেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শুধু মাত্র পার্সেল বিক্রি করতে হবে। সেখানে পার্সেলের পাশাপাশি বসেও খাওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যার পর জমে আড্ডা। যখন প্রশাসনের লোক থাকেনা। পুলিশ কাউকে আটক করে নিয়ে গেলে আবার আইনের আওতায় না নিয়ে ছেড়ে দেয়।
নগরীর খেয়াঘাটগুলোতে পুলিশ নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের সামনে থেকে মাক্স বিহীন অবস্থায় যাত্রীরা আসা যাওয়া করলে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। উপজেলা পর্যায়ে বিধিনিষেধের ছোয়া লাগেনি।
পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কাঁচা পাকা মালের আড়তে এখন আমের মৌসুমে শ্রমিক, মালিক ও ক্রেতাদের অনেক ভিড় দেখা যায়। সেখানে কোন স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছেনা।
শ্রমিক নেতা মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. শামিম খান বলেন, প্রত্যেক শ্রমিক মুখে মাক্স ব্যবহার করবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
বড় বাজারের ব্যবসায়ী ও মেসার্স নিশাত বাণিজ্য ভান্ডারের সত্বাধিকারী আলহাজ¦ মো. সুজন মিয়া বলেন, প্রত্যেক ক্রেতা বিক্রেতাকে বাধ্যতা মূলক ভাবে মাক্স পরিধান করে বাজারে আসতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তার কর্মচারীরা মাক্স পরিধান ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সকলকে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করার আহবান জানান।