জন্মভূমি ডেস্ক : পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ব্যবসায় যুক্ত না হয়ে দেশের প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও গভীরভাবে মনোনিবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অঙ্গীকার চেয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের একটি বেঞ্চ সরকারের কাছে এই অঙ্গীকার চান।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দখলে থাকা একটি জমিকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা এক মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট এই অঙ্গীকার চান।
এর আগে, ২০২১ সালে করাচি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে থাকা একটি জমির অবৈধ ব্যবহারের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের গোচরীভূত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ছিলেন গুলজার আহমেদ। সেই মামলায় বলা হয়, এই জমি কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য গৃহীত হলেও তা বাণিজ্যিক স্বার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রধান বিচারপতি আক্ষেপ করে বলেন, সামরিক বাহিনীর জমিতে সশস্ত্রবাহিনী কমিউনিটি সেন্টার খুলে বিয়ের উদ্দেশ্যে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে। এ সময় তিনি পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমান আওয়ানকে বলেন, সেনাবাহিনী যেন ব্যবসা পরিচালনায় জড়িত হতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে অঙ্গীকার করার নির্দেশ দেন।
ব্যবসা না করে যেন প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে সশস্ত্রবাহিনী দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সে বিষয়ে সরকারের কাছে নিশ্চয়তা চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি কি সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারবেন?’ এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উচিত তাকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে সেই পরিধির মধ্যে থেকেই কাজ করা।