তালা প্রতিনিধি : আড়াই মাস ভারতে আটকে থাকার পর দেশে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলের কাছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার এমডি রাফসান হাবিব-৩।
প্রচন্ড বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে পথ ভুলে ঢুকে পড়ে ভারতীয় জলসীমায়। সেখানে ডুবে যায় তাদের ট্রলার। এ সময় তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে ভারতীয় কোস্টগার্ড। পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কূলপি থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় তাদের। এতদিন আদালতের নির্দেশে পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন তারা। পরে তাদের দেশে ফেরাতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু করে ভারতের সুন্দরবন জেলা পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও ভুক্তভোগি কর্তৃক জানা যায়, বাংলাদেশি এই মৎস্যজীবীরা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফরিদপুরের বাসিন্দা। এ অবস্থায় সহযোগিতার জন্য সুন্দরবন জেলার কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের পুরাতন প্রশাসনিক ভবন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের হোম অ্যান্ড হিল আফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের ফরেনার্স ব্রাঞ্চের সার্ক ভিসা সেকশনের সঙ্গে। তারাই কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপরই তাদের দেশে ফেরাতে প্রায় তিনবার দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, ওই ৯ মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেই সিদ্ধান্ত মতো রোববার (৭মে) সকালে তাদের আনা হয় বসিরহাটের হেমনগর থানায়। হেমনগর থানার পুলিশ কর্মকর্তা মৃনাল রায় ও বিএসএফের ১১৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী টি-জংশনে ওই মৎস্যজীবীদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিজ দেশে ফিরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই মৎসজীবীরা।