কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামের গ্রুপ পর্বের এই লড়াইয়ের আগে মেয়েদের সাফে দুই দল ছয়বার মুখোমুখি হয়েছিল। বাংলাদেশ হেরেছে পাঁচটিতে, এক ম্যাচ গোলশূন্য ড্র। এই ছয় ম্যাচে বাংলাদেশ হজম করেছে ২১ গোল, দিয়েছে মাত্র ২টি। আর আজ সপ্তম ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে ভারতকে শুরু থেকেই ব্যতিব্যস্ত করে রাখে সাবিনা খাতুনরা। শুরুর মিনিট থেকে পরিপক্ক এক বাংলাদেশকে দেখা গেছে।
আক্রমণে কিংবা বল হারালে সব পজিশনে সাবিনারা রেখেছে অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ। বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখে ৮ মিনিটে প্রথমবার বল জালে জড়ান কৃষ্ণা। তবে ফাউলের কারণে গোল বাতিল করে দেন রেফারি।
তবে চার মিনিট পরেই প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ১২ মিনিটে সাবিনা-কৃষ্ণা-স্বপ্না ত্রয়ীর সমন্বয়ে এসেছে গোল। অধিনায়ক সাবিনার পাসে কৃষ্ণার পা হয়ে বক্সের ভেতরে থাকা স্বপ্না নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
২২ মিনিটে ভারতের জালে আবারও গোল বাংলাদেশের। এবার স্বপ্নার সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ভারতের বক্সে ঢুকে যান কৃষ্ণা। বাঁ প্রান্ত ধরে এই ফরোয়ার্ডের কোনাকুনি শটে কিছুই করার ছিল না ভারতীয় গোলকিপার অদিতি চৌহানের।
২ গোলের অগ্রগামিতা ধরে রেখে বাংলাদেশ আক্রমণ অব্যাহত রাখে। যদিও গোল ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি। ভারত ফাঁকে ফাঁকে আক্রমণে উঠলেও গোলকিপার রুপনা চাকমার বড় পরীক্ষা নিতে পারেনি।
বিরতির পর বাংলাদেশ স্বভাবসুলভ খেলা খেলতে থাকে। ৫৩ মিনিটে তৃতীয় গোল করে বাংলাদেশ ছিটকে দেয় ফেভারিট ভারতকে। অধিনায়ক সাবিনার থ্রু পাস ধরে স্বপ্না দৌড়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্লেসিং শটে পরাস্ত করেন ভারত গোলকিপার অদিতি চৌহানকে। ৬৪ মিনিটে জোড়া গোল করা স্বপ্নার জায়গায় ঋতুপর্ণা চাকমা মাঠে নামেন। তাতে করে অবশ্য আর কোনও গোলের দেখা মেলেনি।
৩ গোলের জয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।