দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বরাবরের মতো এবারও ভারতে যাচ্ছে ইলিশ। এবার দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে। এজন্য ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার এক চিঠিতে এতথ্য জানানো হয়। আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রককে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ মাছ রপ্তানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেয়া হলো। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ইলিশ রপ্তানির শর্তগুলোর বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়, রপ্তানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রপ্তানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে। প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রপ্তানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে। এছাড়া অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই অনুমতির মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে। এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রপ্তানিকারক ব্যতীত সাব-কন্ট্রাক্টে রপ্তানি করা যাবে না।
ভারতের বাজারে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ ও সেখানকার সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বাংলাদেশের ইলিশ সরবরাহের দাবি করে আসছে। কিন্তু দেশের বাজারে ইলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রাখে।
কিন্তু ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে কিছু ইলিশ যায়। দুর্গাপূজার সময় ইলিশ পাচার বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ইলিশ বৈধ পথে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
পরবর্তিতে ২০১৯ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে সীমিত পরিসরে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। এরপর দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ২০২০ সালে ভারতে ১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করে। ওই বছর ৯ টি প্রতিষ্ঠান ১৫০-১৭৫ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল।