জন্মভূমি ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরে অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ নারীও আছেন। শুক্রবার ভোরের দিকে পুনের বুধয়ার পেঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন ধরে পুনেতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। পুনের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক ভারত যাদব বলেন, ‘এই ব্যক্তিরা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তাদের সেলফোন তল্লাশি করে দেখা গেছে, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি কল করেছেন।’
পরে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের সবাইকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ভারত যাদব বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন রাস্তার ধারে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির কাজ করতেন। অন্যরা নির্মাণস্থল ও অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছেন। তবে জাতীয়তা প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে কোনও নথি নেই। তারা ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে যে পথ অতিক্রম করেছিলেন, তা শনাক্ত করার জন্য আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পুনেতে অবৈধভাবে অবস্থানের পেছনে তাদের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য জানার চেষ্টাও চলছে। এই বাংলাদেশিদের পুনেতে নিয়ে আসা এজেন্টদেরও শনাক্ত করব।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ২০২২ সাল থেকে কাজের জন্য পুনে শহরে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হিন্দি হালকা বলতে ও বুঝতে পারেন। অন্যরা স্থানীয় ভাষায় যোগাযোগ করতে পারেন না। আমরা তাদের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ছয়টি সেলফোন ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি।
পুনের এই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা এখানে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে বসবাস করছে বলে তথ্য পেয়েছি। পরে যাচাই-বাছাই শেষে আমরা তাদের হেফাজতে নিয়েছি। কারণ আমরা তাদের নেটওয়ার্ক ও অপরাধের সম্প্রসারণ ঠেকাতে চাই। ভারতের পাসপোর্ট আইন এবং বিদেশি আইনের আওতায় এই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাইবে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদেরকে কলকাতার সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।