ক্রীড়া প্রতিবেদক : খুব একটা সুখে নেই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট। সোনালী প্রজন্মের শেষ তারকারা ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন বেশ আগে। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, মুত্তিয়া মুরালিধরন, তিলকারত্নে দিলশানদের অভাবটা আজও পূরণ করতে পারেনি লঙ্কানরা। দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে ভাল করলেও আইসিসি ইভেন্টগুলোতে একেবারেই যাচ্ছেতাই অবস্থা তাদের। এবারের বিশ্বকাপ শেষে নিশ্চিত করতে পারেনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও।
এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। ক্রীড়ামন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বোর্ডের সকলকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। সেই হস্তক্ষেপ আবার আইসিসির নিয়মের বাইরে। ফলে বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপের কারণ দেখিয়ে এসএলসির সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি।
তবে স্বয়ং রানাতুঙ্গা ক্রিকেট এবং ক্রিকেটের বাইরের এই ব্যর্থতার জন্য আঙুল তুলেছেন এক ভারতীয়ের প্রতি। রানাতুঙ্গার দাবি, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহকে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র পুত্রকে একহাত নিয়েছেন কিংবদন্তী এই ক্রিকেটার। লঙ্কান সাংবাদিক চামুদিতা সামারাবিক্রমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন রানাতুঙ্গা।
রানাতুঙ্গার দাবি, তার সিংহল ভাষায় দেওয়া এই সাক্ষাৎকার অনুবাদ করে জয় শাহর কাছে পৌঁছানো হলে বাবার (ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) প্রভাব খাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দেবেন, ‘জয় শাহ এমন মানুষ, আপনি যদি এসব কথা ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন, তাহলে সে ওর বাবার প্রভাব খাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সর্বনাশ করে ছাড়বে। শুধু বাবা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার কারণেই ওর এত ক্ষমতা।’
উদাহরণ হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলির প্রসঙ্গও টেনেছেন রানাতুঙ্গা, ‘শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে জয় শাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সে সৌরভ গাঙ্গুলীকে বিসিসিআইয়ের সভাপতি বানিয়েছিল এবং রাজনীতিতে যোগ দিতে বলেছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে গাঙ্গুলীকে বরখাস্তও করেছে।’
কিন্তু লঙ্কান ক্রিকেটে কিভাবে প্রভাব রাখছেন জয় শাহ? এমন প্রশ্ন তোলা হলে সেটাও উত্তর দিয়েছেন রানাতুঙ্গা। তার অভিযোগ, লঙ্কান বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে জয় শাহর ঘনিষ্ঠ। আর তারা সবাই বিসিসিআইয়ের আজ্ঞাবহ, ‘এসএলসির কর্মকর্তা ও জয় শাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিসিসিআইয়ের ধারণা, ওরা এসএলসিকে চাইলেই পদদলিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ভারতের একটা লোক শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ওর চাপে এসএলসি তছনছ হয়ে যাচ্ছে।’