
জন্মভূমি ডেস্ক : নির্বাচন নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক কি সিদ্ধান্ত সেটা বলতে পারবেন না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অধৈর্য হয়ে যাওয়া বর্তমান সরকারের সংস্কার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এক ধরনের বাধার সৃষ্টি করছে। সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম হবে। রাজনৈতিক সরকারের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সংকট থাকলেও বর্তমান সরকারের একটা সুযোগ আছে সংস্কার করার। সেটাই এই সরকার করতে চায় এবং গণঅভ্যুত্থানে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়ন করতে চায়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা মিলনায়তনে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য না। আমি বাংলাদেশ বর্তমান সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বরত আছি। তাই এ ব্যাপারে রাজনৈতিক কি সিদ্ধান্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিংবা অন্য কারো সেটা আমি বলতে পারব না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে একটি টাইমলাইন দেয়া হয়েছে যে ২০২৫ সালের শেষ থেকে থেকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে। তবে এই সময়টা নির্ভর করছে পুরোপুরি আমাদের সংস্কার কার্যক্রমের উপর।
আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের সংস্কার কমিশনগুলো প্রায় তিন মাসের মতো হয়ে গেছে এবং কমিশনগুলো খুব দ্রুতই তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবে। সেই রিপোর্টগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমের দিকে সরকার যাবে। সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরেই আমরা নির্বাচনের দিকে যাব, নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে।
আমাদের আন্দোলনের এক দফা ছিল ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। সেই এক দফা বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সকল প্রতিষ্ঠানে যে ধরনের সংস্কার প্রয়োজন সেই সংস্কারের এজেন্ডা নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট দিলে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। নির্বাচন নিয়ে অধৈর্য হয়ে যাওয়া সেটা অবশ্যই সংস্কার কার্যক্রম যেটা চলছে সরকারের সেটাকে কিছুটা ব্যাহত করছে এবং সেখানে এক ধরনের বাধার সৃষ্টি করছে। আমরা আহ্বান জানাবো যে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার কার্যক্রমে তাদের মতামত দিয়ে তাদের প্রস্তাবনা দিয়ে সহযোগিতা করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ভিত্তিতে সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সুতরাং কাউকে এখানে বাদ দেয়া হচ্ছে না, সকলকে সঙ্গে নিয়ে এই সংস্কার করা হচ্ছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক সরকারের কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সংকট আছে, সেই জায়গা থেকে এই সরকারের একটা সুযোগ আছে সংস্কার করার। সেটাই এই সরকার করতে চায় এবং গণঅভ্যুত্থানে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়ন করতে চায়। রাজনৈতিক দলগুলো বাইরেও জনগণের অনেক বড় একটি অংশ অভ্যুত্থানে এসেছিল। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নেই সরকারের অগ্রাধিকার।