জন্মভূমি রিপোর্ট : খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এই নির্বাচন কি জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি এমন প্রশ্নের উত্তরে মতবিনিময় শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, যেকান নির্বাচন যদি ভালো হয় তাহলে তার পরবর্তি নির্বাচনের উপর পড়ে। তাই এই নির্বাচন ভালো হলে এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনের উপর পড়বে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, অতীতে অনেক নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছিল। তাই আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যেন ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরাপদ বোধ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহসান হাবিব খান (অব:) এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে সভায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনসহ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, কেসিসি নির্বাচনে মোট ২৮৯টি কেন্দ্র। এর মধ্যে ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। আর ১২৮টি সাধারণ কেন্দ্র। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার। নির্বাচনের কাজে ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে।
২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে।