মোস্তাফিজুর রহমান, মনিরামপুরঃ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নের হেলারঘাট মুক্তেশ্বরী নদীর পশ্চিমপাড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের গাছ লাগানো হয় আনুমানিক ১৫ বছর পূর্বে। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা এবং বিশুদ্ধ অক্সিজেনের জন্য সরকারী ভাবে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সে সময় রাস্তা/ নদীরপাড়, পতিত জমিতে সামাজিক বনায়নের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয় যা রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে বর্তমানে ক্ষমতার দাপটে নিঃশ্বেস হয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত প্রায় ১ মাস পূর্বে উপজেলার ১৫ নং কুলটিয়া ইউনিয়নের হেলারঘাট মুক্তেশ্বরী নদীর পশ্চিমপাড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের গাছ এলাকার ক্ষমতাশীনরা শ্বশ্বানের চিতা তৈরির কথা বলে ১০/১২ টি শিরিশ গাছ ও বাবলাগাছ কর্তন করে নিজেরা পকেট হস্ত করে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মুক্তেশ্বরী নদীর পশ্চিমপাড়ে শ্বশ্বানের চিতা তৈরির জন্য সাবেক ক্ষমতাশীন দলের পাতিনেতারা ক্ষমতাবলে হরীলুট চালায় । শ্বশ্বান কমিটির সভাপতি অসিম সরকার জানান মহিষদিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য পরিমল ধর, মিঠুন ধর ও গৌতম বিশ্বাস নেতৃত্ব দিয়ে উক্ত গাছ কর্তন করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ টাকার অধিক উক্ত টাকা শ্বশানের কোনো কাজে আসেনি। তিনি আরো বলেন শ্বশ্বানের চিতা তৈরির টাকা প্রবাসি কানন প্রতাপ দত্ত ও ব্রোজেন রায় দুইজনে মিলে খরচ বহন করেছেন । এ বিষয়ে মেম্বর পরিমল ধর জানান শ্বশ্বানের চিতা তৈরির স্থানে একটা শিশুগাছ থাকায় উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন নিকট থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। ওই সময় অনুমতির কাগজ চাওয়া হলে তিনি দিতে পারেন নাই। মিঠুন ধর বলেন আমি কিছু জানিনা আমি ওখানে শ্রমিকের কাজ করতাম। উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন জানান বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।