জন্মভূমি ডেস্ক : মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে চীনকে টপকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে আমরা উৎপাদনে প্রথম স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করব।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিগত দুই বছরে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ (পাঙাস, বোয়াল, আইড় ও অন্যান্য ছোট মাছ) এবং কার্প জাতীয় মাছ। এর মধ্যে সর্বাধিক অবদান রয়েছে ইলিশ মাছের।’
বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ রোল মডেল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার জাটকা সংরক্ষণ, ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫.৭১ লাখ মেট্রিক টন।
আব্দুর রহমান বলেন, ২০৩০ সালে আমাদের মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ সাধন ও সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দেশে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশুর জোগান বেশি আছে জানিয়ে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে পশুর দাম বাড়াতে গেলে শেষ সময়ে মাথায় হাত পড়বে ব্যবসায়ীদের।
সরকারের হিসাবে, এবার ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য দেশে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ পশু প্রস্তুত রয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় ২২ লাখেরও বেশি।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাজারদর কী হচ্ছে, তা দেখা মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। কাজ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় জোগান বাড়ানো। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।
আর ডিমের দাম নিয়ে প্রয়োজনে আবারও ব্যবসায়ীদের সাথে বসা হবে বলে জানান রহমান। বলেন, কেউ কারসাজি করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।